দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।কলকাতার শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো এমনটাই বলছে।
৭৯ বছর বয়সী সন্ধ্যা রায়ের কী হয়েছে আবার? অভিনেত্রীর সহকারী জানিয়েছেন, আচমকাই বুকে অস্বস্তি শুরু হয়। জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি তাকে। আপাতত পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। সঠিকভাবে কী হয়েছে প্রবীণ নায়িকার তা জানাননি চিকিৎসকরা। আপাতত দিন কয়েক হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন তিনি।
সাদা কালো থেকে রঙিন, বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। বছর তিনেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ওদিকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে স্বামী তরুণ মজুমদারকে হারান অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে না থাকলেও কাগজে কলমে আলাদা হননি তারা। ১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে রুপালী জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা রায়। তার প্রথম সিনেমা ‘মামলার ফল’ (১৯৫৭)। অসামান্য অভিনয় কৌশলে তিনি অনায়াসে যে কোনও চরিত্র হয়ে উঠতে পারতেন সার্থকভাবে। সন্ধ্যা রায়ের অন্যতম চর্চিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে সত্যজিত রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’।
অন্যদিকে, পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়, যেমন ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা ‘দাদার কীর্তি’, ছোট ‘বউ’, ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘নিমন্ত্রণ’- দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাঙালিকে অজস্র সিনেমা উপহার দিয়েছেন সন্ধ্যা রায়।
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও সমান সফল তিনি। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯-এর নির্বাচনে বয়সজনিত কারণে নিজেই সরে দাঁড়ান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।