ইফতার কিনতে এখন আর যেতে হচ্ছে না পুরান ঢাকায়। রাজধানীর তিনশ ফুট সড়ক সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পাঞ্জলি হলে মিলছে মুখরোচক ইফতার সামগ্রী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পুষ্পাঞ্জলি হলে দেখা যায়, মুখরোচক ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট, মাস্টার শেফ সুব্রত আলী ক্যাটারিং সার্ভিস, জসিম উদ্দীন ক্যাটারিং, রসুই ঘর, নাজিলাস কিচেন অ্যান্ড ক্যাটারিং ও প্রিমিয়ার ক্যাটারিং।
সেখানে দেখা যায়, ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি নানা শাহী আইটেম ও তাজা ফলের জুসও রাখা হয়েছে। দামও রয়েছে মোটামুটি নাগালের ভেতর। ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে ইফতার কিনতে দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য দিনের তুলনায় শুক্রবার ভিড় বাড়বে।
আইসিসিবি ইফতার বাজার প্রথম রমজান থেকেই শুরু হয়েছে। ২৫ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত এ বাজার চলবে।
একটি স্টল থেকে হালিম কিনছিলেন বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগে প্রতি রোজায় চকবাজার থেকে ইফতার কিনে আনতাম। কিন্তু চকবাজার অনেক দূর হয়ে যায়। ইফতার কিনে ফিরে আসতে সময় পাওয়া যায় না। তাই এবারই প্রথম এখানে আসা। আর আইসিসিবির পরিবেশটাও ভালো। আর এখানে পুরান ঢাকার অনেকগুলো আইটেমও পাওয়া যায়। দামও মোটামুটি ঠিক আছে।
আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টের ইনচার্জ জসীম উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো। এখন পর্যন্ত আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি রোজার প্রথম শুক্রবার আরও জনসমাগম বাড়বে।
খাবারের আইটেমের বিষয়ে জসীম বলেন, পুরান ঢাকার বেশ কিছু আইটেম যেমন—চিকেন হাড়িয়ালি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন সাসলিক, জালি কাবাবসহ প্রায় ৪২ আইটেম আছে। এর মধ্যে ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আইটেম হলো কাবাব। আর ডেজার্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলছে গোলাপ জামুন, দই, জিলাপি। মোটামুটি সব আইটেমই কমবেশি বিক্রি হচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, পুরান ঢাকার ইফতার ঢাকার একটি বিশেষ ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যের স্বাদ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নতুন ঢাকার ভোজনরসিকদের সঙ্গে পরিচিত করাতেই আইসিসিবির এ উদ্যোগ। প্রচণ্ড গরম আর যানজটে যাতে ক্রেতাদের চকবাজারে যেতে না হয়, সে লক্ষ্যেই ঢাকা উত্তরের ভোজন-রসিকদের জন্য সবই থাকছে আইসিসিবি ইফতার বাজারে।