ফের পেছাল মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায়

ফের পেছাল মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায়

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১৬ বছর আগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার রায় পিছিয়ে ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত রায় ঘোষণার নতুন এদিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক দুই দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেন। পরে রায় ঘোষণার জন্য আজ ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে আজও রায় ঘোষণা করা হয়নি।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই দিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। পরে ২ নভেম্বর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আসামি মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ও তার গ্রেপ্তার দেখাতে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন মির্জা আব্বাসকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি।

মামলার নথি থেকে যা জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদক উপপরিচালক মো. শফিউল আলম।

মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS