বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গিয়ে নিজের কপাল অবৈধভাবে বড় করার চেষ্টা করব না। এটা আমাদের ইচ্ছা না।আল্লাহর ভয়ে এবং ভালোবাসার জায়গা থেকে যে মানুষটা মানুষের কাছে শ্রদ্ধার উপযুক্ত, সে শ্রদ্ধা পাবে, আর যে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য সে ভালোবাসা পাবে। যেখানে মজলুম থাকবে সেখানে আমরা বাজপাখির মতো হাজির হব।      

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জনগণের টাকা চুরি করবে না, মানুষের ওপর লাঠি ঘুরাবে না, ক্ষমতার গরম দেখাবে না।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পথ সভায় তিনি একথা বলেন। সুবর্ণচর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এই পথ সভার আয়োজন করে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের অস্তিত্ব অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছি। এই জাতির অস্তিত্ব পাওয়ার লড়াই শুরু করতে হবে। এটি হচ্ছে মর্যাদার লড়াই। এই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হলে আল্লাহতালা বাংলাদেশের জনগণকে একটা মানবিক বাংলাদেশ দেবেন। সেই মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের আপসহীন সংগ্রাম এবং লড়াই অব্যাহত থাকবে।         

সুবর্ণচরে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মানুষরুপী কিছু পশু এখানে বড় ধরনের অপকর্ম করেছে। সেদিন দেশটাকে একটা জাহান্নাম বানিয়ে রাখার কারণে মানুষ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে পারেনি। এখানে যা হয়েছে, এ রকম নিকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশে কম আছে।

তিনি বলেন, মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে যায় তখন বেপরোয়া হয়ে যায়। কেউ যদি অহংবোধ দেখায়, আল্লাহতালা ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। একজন মায়ের সম্মানের মূল্য আমাদের কাছে জীবনের থেকে বেশি। কিন্তু পশুরা সেটা বুঝল না। মানুষ যখন মানুষের সঙ্গে থাকে না তখন তারা চার পায়ে জন্তু হয়ে যায়। আবার তারা পশুর চেয়ে খারাপ। মানুষের বিবেকের আদালত হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত।     

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সুবর্ণচর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জামাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জামাল উল্যাহ মুকুল, চরজুবলি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা হেলাল উদ্দিন, চরবাটা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা দিদারউল আলম প্রমুখ।