কোনো উৎসবে আগে রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরাতে চাইছেন। ভাবছেন একটা স্পা করিয়ে নিলে কেমন হয়! যেমন ভাবা, তেমন কাজ।পার্ল্লারে গেলেন, কিন্তু সেখানে আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হলো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার জন্য। তার খরচও কিন্তু কম নয়। আপনি পড়লেন দ্বিধায়! ভাবতে বসলেন, এই ট্রিটমেন্ট করানো ভালো না খারাপ! পার্ল্লারে যে ‘কেরাটিন ট্রিটমেন্ট’ করানো হবে তাতে রাসায়নিক থাকবে না তো?
কোনো চিন্তা নেই। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করে ফেলুন বাড়িতেই। আগের দিনে বেঁচে যাওয়া ভাত আছে তো? তাই দিয়ে চুলের পরিচর্যা হয়ে যাবে।
কেরাটিন কোনো রাসায়নিক নয়। স্বাভাবিকভাবে চুলের মধ্যে থাকা একটা প্রাকৃতিক প্রোটিন। চুলে অতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার, হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার ব্যবহার ও দূষণের জন্য এই প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তখন বাইরে থেকে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করানোর দরকার পড়ে যায়। পার্ল্লারে ফরম্যালডিহাইড নামক একটি রাসায়নিকের সঙ্গে কন্ডিশনার ও কেরাটিন প্রোটিন মিশিয়ে চুলের পরিচর্যা করা হয়। এই প্রক্রিয়া রাসায়নিক ছাড়া বাড়িতেই করা যায়। রান্নাঘরের কিছু উপকরণ দিয়েই পার্ল্লারে মতো ‘হেয়ার ট্রিটমেন্ট’ হবে বাড়িতেই। কী কী লাগবে এবং কীভাবে করবেন, তা জেনে নিন।
যা যা লাগবে: বেঁচে যাওয়া ভাত, নারিকেলের দুধ, ডিমের সাদা অংশ, অলিভ তেল।
যেভাবে হেয়ার মাস্ক বানাবেন:
দুই থেকে তিন চা চামচ ভাত নিন। এবার তার সঙ্গে ২ চা চামচের মতো নারিকেলের দুধ মেশান। তাতে যোগ করুন ডিমের সাদা অংশ এবং অলিভ তেল। সব উপকরণগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে মিক্সারেও ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এবার এই মিশ্রণ চুলের আগা থেকে ডগা অবধি ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। মাস্ক লাগানোর পরে ৪০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর চুলে শ্যাম্পু করে নিন। অলিভ তেলের ভিটামিন ও ডিমের সাদা অংশের প্রোটিন রুক্ষ চুলের প্রাণ ফেরাবে। সপ্তাহে অন্তত দু’বার করতে পারলে যেকোনো উৎসবের আগেই ঝলমল করবে চুল।