দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তবে সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয়তা ভোটের মাঠে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
নির্বাচনে ডলি পেয়েছিলেন মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ ভোট। এরপরই অনেকটা আলোচনার বাইরে চলে যান এই কণ্ঠশিল্পী।
তবে সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণ নতুন করে আলোচনায় তিনি।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ‘রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা’ জানালেন, আজেবাজে মেসেজ দেওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত ফেসবুকে প্রায় ৯০ হাজার আইডি ব্লক করেছেন তিনি।
ডলি সায়ন্তনী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি এই পর্যন্ত ৯০,৮৭০ জনকে ব্লক মেরেছি। যারা আমার পেজকে দেখতে চান না তারা দেখবেন না, প্লিজ। আর কেউ যদি উল্টা পাল্টা মেসেজ করবেন, তো ব্লক খাবেন। ’
ফেসবুকে ডলি সায়ন্তনীর ফলোয়ার প্রায় ১০ লাখ। সেখান থেকেই ৯০ হাজার আইডি ব্লক করার কথা জানালেন এই শিল্পী।
ডলির সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় ভক্তরাও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ শিল্পীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ আবার আলোচনায় আসার জন্য গায়িকা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করেছেন, এমনটাও দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে সেলেক্স-এর ব্যানারে প্রথম ডলির একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ বাজারে আসে। ডলি সায়ন্তনী এ পর্যন্ত ১৫টি একক এবং শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে সাতশ’র বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ১৫টি একক অ্যালবাম, ১০০টির উপরে দ্বৈত ও মিশ্রিত অ্যালবামের কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ৭০০টির উপরে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘উত্থানপতন’। গানের কথা ছিল রংচটা জিন্সের প্যান্ট পরা, জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে ধরা।