যেসব গুণে আকৃষ্ট হয় নারীরা

যেসব গুণে আকৃষ্ট হয় নারীরা

সামনেই শীত মৌসুম, আসছে বিয়ের মৌসুম। এবার যারা বিয়ে করার কথা ভাবছেন, শুধু কেমন কেমন বউ চান না ভেবে, নিজের মধ্যে গুণগুলো আছে নাকি মিলিয়ে নিন।কারণ আমরা অনেক সময় মনে করি নারীরা ধনী, লম্বা ও সুদর্শন পুরুষ পছন্দ করে।  কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্য থেকে নারীকে বেশি আকৃষ্ট করে তাদের ‘পুরুষালী` গুণাবলী। পুরুষকেও জানতে হবে কোন বিষয়গুলো নারীর কাছে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে:

* পরিপাটি ও পরিচ্ছন্নতা

হ্যাঁ, আপনি হয়তো বেশ লম্বা কিন্তু উচ্চতা সত্যিই নিজেকে উপস্থাপন করার গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর না। মূল বিষয় হচ্ছে নারী লক্ষ্য করে আপনি নিজের বিষয়ে কতোটা সচেতন। আপনাকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে প্রথম দেখা করার সময়। হতে হবে নিজের প্রতি যত্নশীল, মনে রাখবেন এলোমেলো চুল, নোংরা নখ, দুর্গন্ধযুক্ত মোজা, কালি ছাড়া জুতা, শার্ট বা জিন্সে দাগ এসব কিছুই হতে পারে আপনাকে অপছন্দ করার অন্যতম কারণ।

* সেন্স অব স্টাইল

খুব দামী কাপড় পরে নারীর সামনে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে পোশাকটি অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আধুনিক ডিজাইনের হতে হবে। একইসঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন পোশাকে আপনি সাবলীল থাকতে পারেন এবং এতে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।  

* সেন্স অব হিউমার

নারীর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যে তারা পুরুষের বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন রসবোধের বিষয়টি উপভোগ করে। কিন্তু মজা করতে গিয়ে যেন এমন কিছু বলা বা করা যাবে না যা অন্যকে উপহাস করে বা ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যায়।  

* কেয়ারিং

ধরুন রাস্তা পার হচ্ছেন। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে নারী সঙ্গীটিকে নিরাপদে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা। কখনোই তাকে পেছনে ফেলে নিজে এগিয়ে যাবেন না। কোনো জায়গায় ঘুরতে যাবেন বা কী খাবেন সব বিষয়েই তার পছন্দের গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন নারীরা গুরুত্ব পেতে ভালোবাসে।

* মুগ্ধতা

নারী সঙ্গীর প্রতি মুগ্ধতা দেখান। বাইরে যাওয়ার সময় তার সাজের প্রশংসা করুন। নারী সঙ্গীর দেওয়া উপহার সানন্দে গ্রহণ করুন। তার রান্নার প্রশংসা করুন। কখনো যদি পছন্দ মতো নাও হয়, কোনোভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। মনে রাখবেন, অনেক আন্তরিকতা নিয়ে কষ্ট করে শুধু আপনাকে খুশি করার জন্যই সে এত সব করেছে। তার সাথে দেখা হলে প্রথমেই মিষ্টি করে হাসুন।

* শান্ত থাকা

অনেক পুরুষের বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা খুব অল্পতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই আবার রাগ কমে যায়। পুরুষের কাজ হবে, কিছুটা সময় শান্ত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্তিপূর্ণ রাখা। নারীরাও আজকাল রাগী, আক্রমণাত্বক সঙ্গী পছন্দ করে না। রাগ করার মতো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে আপনি নারী সঙ্গীকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলুন।

* সম্মান

নারীকে সম্মান করতে হবে। অনেকের মাঝে নারীকে হেয় করে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। তবে নারীও মানুষ সে পুরুষের সমান গুরুত্ব এবং সম্মান পাওয়ার অধীকার রাখে।

* অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী

পয়সা ছাড়া জীবন চলবে না। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলে সংসার চালানো দায়। আর নারীরা এই বিষয়টা বিচক্ষণ বোঝেন। তাই তারা চেষ্টা করেন এমন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গুছিয়ে নেওয়ার যার ইনকাম মন্দ নয়। এর মাধ্যমেই তিনি তার ভবিষ্যত গুছিয়ে নিতে চান। তাই এখন থেকে নিজের অর্থনৈতিক দিকটি মজবুত করার চেষ্টা চালান। পয়সার দম থাকলে সব হবে।

নারীরা সব বিষয়ে ভীষণই খুঁতখুঁতে হয়ে থাকেন। তাই বিয়ে করার আগে আপনার সম্পর্কে খোঁজ তো নেবেনই। অতএব নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন। যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি, এমন পুরুষকে সবাই ভালোবাসেন। তাই এখন থেকে ওপরের গুণটি বাড়ানোর দিকেও নজর দিন। আশা করছি, বিয়ের সানাই বাজতে দেরি হবে না। সুখী দাম্পত্যযাপনের স্বপ্নপূরণ হবেই।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS