গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর জায়গা না পায় তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর জেলা স্কুল মাঠে গণপরিষদ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর জায়গা না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা সেদিন রাজপথে দাঁড়িয়ে জনতার বুকে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগের চরিত্র শুধু ২০২৪ সালই নয়, ৭৫-এর বাকশালী চরিত্র আমরা দেখি নাই। বাকশালী চরিত্র ছিল এর চেয়ে জঘন্য। নতুন বউ নিয়ে যাওয়ার পথে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এমন চরিত্রও আওয়ামী লীগের আছে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাও ইতিহাসে লিখা আছে। এই বাকশালী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে আর দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। এরা রাষ্ট্রদ্রোহী রাজনৈতিক দল। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারত থেকে কালো টুপির বাহিনী এনে এই আন্দোলনে এরা জনগণের ওপর গুলি চালিয়েছে। তাই এই ভারত মদতপুষ্ট দলকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিএনপি, জামায়াত ও সকল দল একাত্ম থাকুন। এতে সরকার বাধ্য হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ না নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিণতি মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের জনসমর্থনের ভিত্তি হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কাজেই আপনারা এই রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, জনগণ আপনাদের সঙ্গে থাকবে। আপনারা যদি ব্যর্থ হোন এই বাংলাদেশ আরেকটি নতুন সংকটে পতিত হবে। তাই আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে চাই।
গণঅধিকার পরিষদের জামালপুর শাখার সভাপতি মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন প্রধান বক্তা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, বিশেষ অতিথি গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ দলের নেতারা।