পূজা এসেই গেল প্রায়। সাধের কাঞ্জিভরম থেকে শুরু করে ভারী সিল্কের শাড়িতে সেজে ওঠার এই তো আদর্শ সময়।আর শাড়ি মানেই মানানসই গহনায় সাজতেই হবে। আলমারিতে এতদিন তুলে রাখা সোনার গহনাই শুধু নয়, মুক্তা বা কস্টিউম জুয়েলারিও বের করার সময় এসে গেছে। আর গহনা কেবল পরলেই তো হলো না, তার যত্নও চাই। পুরনো দিনের সাবেকি গহনা পরতে চাইলেতার জৌলুস ফেরানো জরুরি। তাই উৎসবের মৌসুমে জেনে নিন কীভাবে পুরনো গহনার চাকচিক্য ফেরাবেন।
সোনার জৌলুস ফেরাতে একটা বাটিতে হালকা গরম পানি নিন। তাতে কয়েক ফোঁটা তরল ডিটারজেন্ট মেশান। এবার গহনাগুলো বাটিতে ডুবিয়ে রাখুন। নরম টুথব্রাশ দিয়ে গহনা হালকা করে ঘষে নিলেই চকচক করবে। অনেকেই কানে, হাতে এবং গলায় হালকা সোনার গহনা সবসময় পরে থাকেন। এই ক্ষেত্রে দেখা যায় ঘাম, মেকআপ, ময়েশ্চারাইজ়ার ইত্যাদির সংস্পর্শে এসে সোনা মলিন হয়ে পড়ে। সেই ক্ষেত্রে একটি পাত্রে কিছুটা সোডা এবং কয়েক ফোঁটা তরল সাবান মেশান। একটি ছাঁকনিতে গহনাগুলো রেখে ছাঁকনিটা ওই পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট বাদে ছাঁকনি তুলে পরিষ্কার পানিতে গহনা ধুয়ে সুতির নরম কাপড়ে মুছে ফেলুন।
রুপার গহনা ঝকঝকে করতে দারুণ কাজ দেয় অ্যালুমিনিয়ম ফয়েল। একটা পাত্রে অ্যালুমিনিয়ম ফয়েল রেখে তার ওপর রুপার গহনা রাখুন। এবার দুই চামচ বেকিং সোডা মেশানো কুসুম গরম পানি ঢালুন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পরে আলতো হাতে গহনা পরিষ্কার করুন।
মুক্তার গহনা হলে তা বিশেষ যত্নে রাখতে হয়। হালকা গরম পানি কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এবার মেকআপের ব্রাশ সেই মিশ্রণে ডুবিয়ে তা দিয়ে ধীরে ধীরে গহনা পরিষ্কার করুন। খেয়াল রাখবেন যাতে মুক্তার গায়ে আঁচড়ের দাগ না পড়ে যায়।
হীরের গহনা খুব অল্প সময়েই পরিষ্কার করা যায়। প্রথমে চার কাপ পানিতে এক চা চামচের সমান শ্যাম্পু গুলে নিতে হবে। খুব কড়া শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। মিশ্রণটি ভালো করে নাড়িয়ে নিন, ফেনা হয়ে এলে ওই পাত্রে গহনাগুলো মিনিট কুড়ির জন্য ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পানি থেকে তুলে, একটি নরম দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে হালকা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন ময়লা। এরপর পরিষ্কার পানি ধুয়ে নরম শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই একেবারে ঝকঝক করবে আপনার গহনা।