এক মগ কফি বদলে দিতে পারে আপনার সারাদিন। সবার প্রিয় পানীয় কফির জন্যও একটি দিন ছেড়ে দেওয়া রয়েছে ক্যালেন্ডারের পাতায়।জানেন তো? আর সেই দিনটিই (আন্তর্জাতিক কফি দিবস) হচ্ছে ০১ অক্টোবর। বিশেষ এই দিনে কফির একটু গুণগান তো করাই যায়।
আসুন দেখি, আরও একবার মিলিয়ে নেই, কফি পানের উপকারিতা-
বুদ্ধিমান করে তোলে
কফির একটি মনস্তাত্ত্বিক উদ্দীপক রয়েছে যা মানসিক শক্তি, মেজাজ উন্নত করার ক্ষমতা রাখে। এভাবে আপনাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমান ও স্মার্ট করে তোলে।
কফি পান করলে অ্যালজাইমার জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমে। এটি মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগের আক্রমণও প্রতিহত করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
হৃদযন্ত্রের প্রদাহ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস এড়াতে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে।
ক্ষুধা কমাতে
কফি পানে আমাদের খাবার গ্রহণের আগ্রহ কমিয়ে দেয় ও দীর্ঘ সময় কর্মশক্তি দিয়ে ক্লান্তি দূর করে। এজন্য আমরা যখন ওজন কমাতে ডায়েট করি তখন কফি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
চোখের জন্যও ভালো
কফি পানে আমাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
হার্ভাড মেডিকেল বিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, যারা দিনে দুই থেকে তিনবার কফি পান করেন তারা কম হতাশায় ভোগেন। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। যারা কফি পান করেন না তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।