রোজ সহকর্মীরা সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে অফিসে আসেন। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে ব্যাগ, গহনা কিংবা জুতা পরতেও ভোলেন না।কিন্তু যারা অফিস যাওয়ার আগে গোসল করার সময় পান না, ঠিক করে খেতেই পারেন না, তারা কী করে সব জিনিস গুছিয়ে রাখবেন?
অনলাইনে প্রায়ই নানা ধরনের জিনিস আসছে। চাঁদনীচক বা নিউমার্কেট কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পোশাক থেকে শুরু করে গহনা, এক ক্লিকে সবই বাড়ির দরজায় চলে আসে। সবই আছে, কিন্তু প্রয়োজনে কোনো জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। যেদিন একটু সাজগোজ করতে যাবেন, সেদিন অফিসে ঢুকতে অবধারিত দেরি হবে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই অফিস যাওয়ার আগে এত ঝক্কি পোহাতে হয় না। যতই কাজের চাপ থাকুক, পোশাক বা মানানসই জিনিস বাছতে বেশি সময় লাগবে না।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে ধাতস্থ হতে খানিকটা সময় লাগে। তাই কী পরবেন, বা কোনটা পরবেন না, বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। সকালে উঠে আলমারি খুলে হতবাক হয়ে তাকিয়ে না থেকে বরং আগের দিন রাত থেকে ঠিক করে রাখুন। তা হলে অফিসে যাওয়ার সময়ে বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না।
* ক্যালেন্ডার দেখে বিশেষ দিনগুলো দাগিয়ে রাখুন। অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই পোশাক মাসখানেক আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। তা হলে বেরোনোর আগে শাড়ির সঙ্গে পরার মতো ব্লাউজ় বা গহনা নেই বলে হা-হুতাশ করতে হবে না।
* ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়েও জামা-কাপড় বেছে নিতে পারেন। গরমে আরামদায়ক পাতলা, সুতির পোশাক পরলে বর্ষায় শিফন বা জর্জেট চলতে পারে। শীতে অবশ্যই সোয়েটার বা জ্যাকেট থাকবে।
* সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে রং মিলিয়ে পোশাক পরতে পারেন। সপ্তাহের কোনো দিন কী পরবেন, আগে থেকে কথা বলে ঠিক করে রাখলেও সমস্যা কম হবে।
* কাজে বেরোনোর আগে পোশাক ইস্ত্রি করতেও অনেকটা সময় যায়। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি ছুটির দিনে বেশ কয়েকটি পোশাক যদি ইস্ত্রি করে রাখতে পারেন। তা হলেও অনেকটা সময় বাঁচানো যায়।
* কর্মস্থলে নারীরা সালোয়ার-কামিজ, শার্ট-টপস ও প্যান্ট সবই পরে থাকেন। আপনি আপনার পছন্দ আর স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী পোশাক বেছে নিতে পারেন।
* পোশাকের রং আর নকশার দিকে নজর রাখতে হবে। খুব গাঢ় বা উজ্জ্বল কোনো রং, অনেক জমকালো পোশাক এড়িয়ে চলুন।
*বিশেষ দিনগুলোতে বেছে নিতে পারেন হালকা রং ও নকশার জামদানি শাড়ি।
* নারীরা স্লিপার বা স্নিকার্স অথবা মিডিয়াম হিল জুতা বেছে নিতে পারেন। কালো, বাদামি, সাদার মতো রং বেছে নিতে পারেন জুতার ক্ষেত্রে। জুতা যেন পরিষ্কার থাকে এবং এতে খুব বেশি কারুকাজ না থাকে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন।
*অফিসের পোশাকের পাশাপাশি ছিমছাম নকশার ঘড়ি বেছে নিতে পারেন।
* পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন।
* হালকা রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন অথবা লিপ পেন্সিল আউট লাইন এঁকে নিয়ে হালকা রঙের লিপগ্লস দিতে পারেন। চাইলে কানে ছোট দুল ও গলায় ছোট লকেট, হাতে হালকা নকশার ব্রেসলেট পরতে পারেন।
* ব্যাগ যাতে খুব বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* আমাদের অনেকেরই জানা নেই, কেমন চুলে আমাদের সুন্দর দেখায় বা আমাদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো মানায়। তাই একজন বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শ নিয়ে হেয়ার স্টাইল ঠিক করে নিতে ভুলবেন না।