বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন বলেছেন, সরকার মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য ছাগলকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।‘ভারতের সঙ্গে অবৈধ চুক্তি, দুর্নীতি, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, আপনারা আজিজ, বেনজীর, আসাদুজ্জামান মিয়া ও মতিউর তৈরি করেছেন। নতুন করে ফয়সাল তৈরি করেছেন। একেক কান্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য ছাগলকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এসব কাণ্ডে কোনো কাজ হবে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন এক সপ্তাহে দুইবার। আম, লিচু ও ইলিশ পাঠান। সেদেশে গিয়ে ফেরত আসেন খালি হাতে। পানির ন্যায্য হিসাব আনতে পারেন না। নতুন করে আমার বুকের ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি সই করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি একেক দিন একেক নতুন কথা আবিষ্কার করেন। আজ পত্রিকায় দেখলাম, মমতার জন্য নাকি আমরা তিস্তার পানির ভাগ পাচ্ছি না। হায়রে কপাল আমাদের এতই মন্দ! এ মন্দের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এ কপাল খারাপের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ। নতুন করে সমঝোতা সইয়ের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজকে খর্ব করার পথে আপনারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আপনারা হুমকি তৈরি করবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সৈনিক, একজন কর্মী থাকতেও তা মেনে নেব না।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আপনারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আইনের শাসনের নামে বেআইনি শাসন করে আমাদের লাখ লাখ কর্মীকে জেলে রেখেছেন। মির্জা আলমগীরের মতো, মির্জা আব্বাসের মতো সততার পরিচয় দেওয়া নেতাদের বিচারপতির বাসভবনে ঢিল মারার কারণে জেল খাটতে হয়। এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি বিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজ প্রমুখ।