বগুড়া সদর উপজেলায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক প্রবাসী নারীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসময় আরেক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) রাত সোয়া ১টার দিকে শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা চকরপাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে শরীফ (১৮) ও একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান ওরফে রুম্মান (১৭)।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়েকে উক্ত্যক্ত করার জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ঈদের দিন রাত ১টার পর চকরপাড়া এলাকার একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে বেশ কিছু গুলি ছোড়ার শব্দ শোনেন স্থানীয় লোকজন। শব্দ থেমে গেলে স্থানীয়রা বের হয়ে ইউক্যালিপটাস বাগান সংলগ্ন গলির মধ্যে পাশাপাশি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেখে যে শরিফ ও রোমানের মৃত্যু হয়েছে। আর হোসেন (১৮) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ আহত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করে আর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত শরিফের বাবা দুদু মিয়া জানান, ঈদের রাতে বাসায় খাওয়ার পর এক বন্ধুর ফোন পেয়ে রাত ১২টার দিকে বের হন শরিফ। পরে এলাকায় গুলির শব্দ শুনে তারা বাইরে গিয়ে দেখেন যে অন্তত ২০ জনের একটি দল পালিয়ে যাচ্ছে। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে আছেন শরিফ, রোমান আর হোসেন।
একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে সোমবার রাতে রিকশায় করে নিশিন্দারা উপশহর যাচ্ছিলেন। পথে মোস্তাফাবিয়া মাদরাসার সামনে কয়েকজন যুবক রিকশা আটকে তাকে উত্ত্যক্ত করেন। এর জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার জানান, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে দুই রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এক প্রবাসী নারীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একাধিক দল জড়িতদের শনাক্ত করতে রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে।