সুস্থতায় ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক

সুস্থতায় ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক

একটু ঠাণ্ডা-জ্বর হলেই অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেতে শুরু করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসক সাতদিনের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে দিলেন, তিন দিনেই শরীর একটু ভালো হলে কোর্স শেষ না করেই বন্ধ করে দেন।

অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না করেন তাহলে এটি আমাদের শরীরে কাজ করে না। ফলে ব্যাকটেরিয়া নতুন করে আবার জন্মানোর সুযোগ পেয়ে যায়।  

কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর আস্থা রাখুন।  
হাতের কাছেই রয়েছে হলুদ, আদা ও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। জেনে নিন কোন সমস্যার সমাধানে কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবেন: 

হলুদ 

হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেও কাজ করে।  

আদা 

আদা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধে আদা খুব ভালো ঘরোয়া উপাদান।  

মধু 

মধুও আরেকটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়াকে ব্যাহত করে।  

• এক গ্লাস দুধে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। ২ চা চামচ মধু এবং সামান্য গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। মিশ্রণটি বেশ গাঢ় হবে। দিনে দু থেকে তিনবার খেলে বুকের কফ দূর হয়ে যাবে।  


• এক গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ আদা কুচি মিশিয়ে, ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট মতো জ্বাল দিন। অল্প মধু মেশান। দিনে দুবার করে পান করলেই ঠান্ডা-সর্দি দূর হবে। যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে আর ফুসফুস পরিষ্কার রাখতেও এর জুড়ি নেই।  

• মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া এবং লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন(বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়।  

এসব খেয়ে কয়েক দিনেও যদি সুস্থ না হন, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS