ভালো নেই মঞ্চ ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। রোগ মুক্তিতে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই গুণী অভিনেতা।
রুমির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রুমি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ভারতের চেন্নাইয়ে তাঁর চিকিৎসাও হয়েছে। এখন হাসপাতালের সিসিইউতে আছেন এই অভিনেতা। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিনয় জীবনের তিন দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক এবং সিনেমায়। অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি যেন বাড়তি আনন্দ দেয় দর্শকদের। গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। এ ভাষাতেই তিনি দর্শকদের হাসিয়েছেন। কখনও কখনও তাঁর সংলাপ শুনে কেঁদেছেন দর্শক। বরগুনায় জন্ম রুমির। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রুমি।
রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে ‘দড়িয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো– ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকাপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘বাপ বেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘জমজ-৫’, ‘জমজ-৬’, ‘জমজ-৭’, ‘জমজ-৮’, ‘জমজ-৯’, ‘জমজ-১০’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘২০০ কদবেলী ইত্যাদি’, ‘সোনার শিকল’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘প্রেসিডেন্ট সিরাজউদ্দৌলা’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। আসছে ঈদের জন্য নাটকেও অভিনয় করার কথা ছিল রুমির। শারীরিক অসুস্থতায় এখন হাসপাতালে সময় কাটছে এ অভিনেতার।