পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত করেছে রাওয়ালপিন্ডির একটি জবাবদিহি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ১৯০ মিলিয়ন ইউরোর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত এ আদালতের শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন বিচারক নাসির জাভেদ রানা। এ কারাগারেই বন্দী আছেন ইমরান খান।
গত ডিসেম্বরে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি) এ দুর্নীতির মামলা করে। এতে আসামি করা হয় ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি ও অপর ছয়জনকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে ইমরান খান ও বুশরা বিবি বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ বিলিয়ন রুপি বৈধ করার জন্য বিলিয়ন টাকা এবং শত শত কানালের জমি নিয়েছিলেন। সাবেক পিটিআই সরকারের সময় ওই অর্থটি পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
এনএবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই অর্থটি করাচির বাহরিয়া টাউনের জমি ক্রয় সংক্রান্ত একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ ভূমিকা’ পালন করেন বর্তমানে জেলবন্দী ইমরান খান।
অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে ধনকুবের মালিক রিয়াজ হুসাইন, তার ছেলে আহমেদ আলি রিয়াজ এবং মির্জা শেহজাদ আকবর ও জুলফি বুখারি রয়েছেন।
কিন্তু তদন্ত এবং পরবর্তী আদালতের কার্যক্রমে যোগদানের পরিবর্তে তারা পলাতক হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে তাদের ঘোষিত অপরাধী (পিও) ঘোষণা করা হয়।
ইমরান খানের স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহাত শাহজাদি এবং পিটিআই সরকারের সম্পদ উদ্ধার ইউনিটের আইন বিশেষজ্ঞ জিয়াউল মুস্তফা নাসিমকেও পিও ঘোষণা করা হয়।
ফলে এ অভিযুক্ত ছয়জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
মঙ্গলবার আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে চার্জশিট পড়ে শোনায়।
তবে ইমরান দম্পতি এ চার্জ অস্বীকার করেছেন।
পরে আদালত এনএবি’র পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে।
পিটিআই’র আইনজীবী উমাইর নিয়াজি চার্জ গ্রহণ ও সাক্ষীদের সমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র : ডন