শুষ্ক মৌসুমসহ সারা বছর নৌ চলাচল সচল রাখতে কাপ্তাই হ্রদে পরিকল্পিত খননের কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার নেতারা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংস্থাটি তাদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তোলেন।
নেতারা বলেন, জেলা সদরের সঙ্গে হ্রদবেষ্টিত ছয়টি উপজেলার যোগাযোগ হয় নৌপথে। কিন্তু বছরের শুষ্ক মৌসুমে পাঁচ মাস ধরে জেলা সদরের সঙ্গে বাকি ছয় উপজেলার নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। যে কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়, মাছের উৎপাদন কমে যায়, নৌ শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটে।
সংস্থাটির নেতারা আরও বলেন, কে বা কারা অপরিকল্পিতভাবে হ্রদের বিক্ষিপ্ত জায়গায় ড্রেজিং করছে। অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে হ্রদের তলদেশ আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে বলে যোগ করেন তারা।
খনন কাজগুলো পরিকল্পিতভাবে জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয় তাহলে নৌ-চলাচল সারা বছর সচল থাকবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটবে না এবং মৎস্য সম্পদ বাড়বে বলে জানান সংস্থাটির নেতারা।
এসময় সংস্থাটির সভাপতি মঈনুদ্দীন সেলিম, সদস্য নাজিম উদ্দীন, লঞ্চ মালিক নিজাম উদ্দীন, মো. ইউনুচ এবং লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।