নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্লডিয়া টেনি নামে একজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে তার নাম প্রস্তাব করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন ক্লডিয়া টেনি। এতে তিনি বলেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্য তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম নতুন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন আমলা, বৈদেশিক নীতির পেশাদার ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা জোর দিয়ে বলছিলেন- ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনো শান্তি চুক্তি অসম্ভব। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটি মিথ্যা প্রমাণ করেছিলেন।
টেনি আরও বলেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস প্রস্তুত করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নজিরবিহীন সাহসী প্রচেষ্টা দেখিয়েছিলেন। অথচ নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি তার সেই অবদান অস্বীকার করে চলেছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব প্রকাশ্য। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি অর্জনের বিষয়ে তার প্রচেষ্টাকে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।
রিপাবলিকার এই আইন প্রণেতা ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন উল্লেখ করে বলেন, এ স্বীকৃতি তার প্রাপ্য।
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মরক্কো, সুদান। এ ক্ষেত্রে যে চুক্তি করা হয় অর্থাৎ আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প।