স্কোয়াডে নাম থাকলেও পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে দলের সঙ্গে ভারতে আসতে পারেননি ইংলিশ ক্রিকেটার শোয়েব বশির। বিষয়টি ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।অনেকেই ২০ বছর বয়সী বশিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন তার দল ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
আসন্ন হায়দরাবাদ টেস্টে ইংল্যান্ড দলের স্কোয়াড সাজানো হয়েছিল তিন জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। এই তিনজনের একজন ছিলেন বশির। কিন্তু এতদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকলেও ভারতের ভিসা পাননি পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত এই স্পিনার। তাই দলের সঙ্গে যোগ না দিয়ে নিজ দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে হচ্ছে তাকে।
বশিরের বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ও ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুফল মেলেনি। এ নিয়ে বিরক্ত ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসও। তিনি বলেন, ‘আবুধাবিতে প্রথমবার খবরটা শুনে আমি বলেছিলাম, বশির ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা উড়াল দেবো না। কিন্তু ওটা ছিল কথার কথা। ‘
‘আমি জানি এটা করা অনেক বড় ব্যাপার। এটা হয়তো আমার আবেগের কারণে হয়েছে। সফরে না যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বশির জানে তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি সত্যিই বিধ্বস্ত অনুভব করছি এটা ভেবে যে, বশিরকে এমন কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। একজন অধিনায়ক হিসেবে, কোনো সতীর্থ যদি এমন কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন আবেগ কাজ করবেই। আমি জানি সে লন্ডনে ফিরে গেছে এবং অনেক মানুষ মিলে এই সমস্যাটার একটা সমাধান বের করার চেষ্টা করছে। আশা করি, সপ্তাহান্তে তাকে এখানে (ভারতে) দেখতে পারবো।
বশির পাশে পেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতকেও। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবার হয়তো তার ইংল্যান্ড দলের অংশ হিসেবে ভারতে আসার কথা ছিল। সত্যিকার অর্থেই তার জন্য খারাপ লাগছে। এটা কারও জন্যই সহজ নয়। দুঃখজনকভাবে, আমি ভিসা অফিসে বসি না। ফলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছি না। তবে আমি আশা করি সে শিগগিরই এখানে আসতে পারবে, আমাদের দেশকে উপভোগ করবে এবং ক্রিকেটও খেলবে। ‘
বশিরের ভিসা না পাওয়ার ব্যাপারে ডেইলি মেইলের খবর, মূলত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়াতেই এই জটিলতায় পড়েন তিনি।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সমারসেটের হয়ে খেলেন বশির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই অফ স্পিনারের উইকেট সংখ্যা মাত্র ১০টি। তারপরও ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে তার দারুণ নৈপুণ্য ও বল স্পিন করানোর দারুণ দক্ষতার কারণে জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তার সামনে। এরপর আরব আমিরাতে ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্পেও ভালো করেছেন তিনি।