দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছে, আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে। জনগণ আবার আমাদের নির্বাচিত করেছে।এখন মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) ঢাকায় সরকারি বাসভবনে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি জাতির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একেকটি জাতীয় নির্বাচন একেকটি ধাপ। দেশের উন্নয়নকে চলমান রাখতে এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আগামী পাঁচ বছর মানুষের জন্য আমরা কী করতে চাই, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই, তা আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছি।
কর্মকর্তা-বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রী হিসেবে যেই থাকুক, আপনারা এ মন্ত্রণালয়ে থাকবেন। দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আগামীতেও কাজ করে যাবেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কাছে এই পাঁচ বছর খুবই স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এই পাঁচ বছরে কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানান প্রতিকূলতা ছিল, চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, আমি মনে করি-কৃষি মন্ত্রণালয় জাতির কাছে একটা অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।
এর আগে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-বিজ্ঞানীরা।
এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়ালসহ অন্যান্য সংস্থাপ্রধান এবং মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।