‘অ্যাকুয়াম্যান’ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’-এ খুবই অল্প সময়ের জন্য পর্দায় উপস্থিতি হতে পেয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার্ড হার্ড। জানা গেছে, পুরো সিনেমায় ১১টি সংলাপ দেবেন তিনি।এ জন্য তাকে মোট স্ক্রিনটাইম দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ মিনিট!
বিপরীতে সিনেমায় প্রধান চরিত্র জেসন মোমোয়া এবং প্যাট্রিক উইলসনের আছে স্ক্রিনে লম্বা সময়ের উপস্থিতি। এছাড়া ইয়াহিয়া আব্দুল-ম্যাটিন এবং নিকোল কিডম্যানও আছেন গুরুত্বপুর্ণ চরিত্রে।
২০১৮ সালের অ্যাকুয়াম্যান’ সিনেমার সিক্যুয়েলটিতে প্রধান ভিলেন (ব্ল্যাক ম্যান্টা) চরিত্রে অভিনয় করছেন ইয়াহিয়া আব্দুল-ম্যাটিন। এতে তাকে পৌরাণিক ব্ল্যাক ট্রাইডেন্ট ব্যবহার করে এক ধরনের বিপজ্জনক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটাতে দেখা যায়।
এবারের গল্পে অ্যাকুয়াম্যান তার ভাই, আটলানটিসের সাবেক রাজা ওর্মের সঙ্গে এক হয়ে ব্ল্যাক ম্যান্টার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। অতীতে খারাপ সম্পর্ক থাকলেও রাজ্যের সবাইকে বাঁচাতে ‘অ্যাকুয়াম্যান’ আবার তার ভাইয়ের সঙ্গে একত্রিত হন।
বিজনেস ইনসাইডারের মতে, ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’-এ অ্যাম্বারকে কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা গেলেও তার জেসনের সঙ্গে সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলো মূল প্লট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’র শুটিং সেট অ্যাম্বার হার্ডের জন্য এতটা সহজ ছিল না। অ্যাম্বারের থেরাপিস্ট ড. ডন হিউজের কাছ থেকে পাওয়া সদ্য প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, জেসন মোমোয়া নাকি হার্ডকে এ চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন।
এছাড়া এ অভিনেত্রী দাবি করেন, প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে তার মানহানি মামলা চলাকালীন সহশিল্পী জেসন মোমোয়া নাকি মাতাল হয়ে এবং জনি ডেপ সেজে শুটিং সেটে আসতেন।
তবে ডিসি’র একজন মুখপাত্র ভ্যারাইটিকে বলেছেন, জেসন মোমোয়া সেটে সবসময় পেশাদার আচরণ করেছেন। আরেকজনের দাবি, মোমোয়া কখনোই মাতাল হননি, ডেপের মতো করে পোশাক পরেননি। তিনি সবসময়ই ভবঘুরের মতো পোশাক পরেন।