ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিটটি দাখিল করা হয়।
হরিয়ানার ফরিদাবাদে কিছু কৃষিজমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। খবর ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে হরিয়ানায় এইচ এল পাহওয়ার নামে এক এজেন্টের কাছ থেকে পাঁচ একর জমি ও বাড়ি কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১০ সালে সেই জমি পাহওয়ারের কাছেই বিক্রি করে দেন তিনি। এ সময় আর্থিক দুর্নীতি হয়। ইডির চার্জশিটে এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
ইডির একটি সূত্র এও জানিয়েছে, চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কাসহ দুজনের নাম থাকলেও কাউকেই অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়নি। অপর ব্যক্তির নাম রবার্ট। তিনিও ২০০৫-০৬ সালের মধ্যে পাহওয়ারের কাছ থেকে আমিপুরে ৪০ দশমিক আট একর জমি কিনেছিলেন। ২০১০ সালে তার কাছেই আবার সেগুলো বিক্রি করে দেন রবার্ট।
মূলত আর্থিক দুর্নীতিতে যারা প্রধান অভিযুক্ত তাদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রিয়াঙ্কা ও রবার্টের নাম এসেছে। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সিসি থাম্পি ও সুমিত চাড্ডা। সিসি প্রবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী। সুমিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।
থাম্পির পাহওয়ারের কাছ থেকে ৪৮৬ একর জমি কিনেছিলেন। এ বিষয়টি থেকেই প্রিয়াঙ্কা ও থাম্পির যোগসূত্র আছে বলে মনে করছে ইডি।
সঞ্জয় ভান্ডারী নামে এক জনৈক অস্ত্র বিক্রেতাকে অবৈধ লেনদেনে এই দুই ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন বলে ইডির চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে।
এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা ও রবার্টকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবদ করেছিল ইডি।