কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের হাজার বিধি-নিষেধ মেনে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা মানুষের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে, রইল এমন পাঁচটি তেল।
অলিভ অয়েল
জলপাই থেকে নিষ্কাশিত এই তেল, বিশেষত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভার্জিন অলিভ অয়েল বলতে সেই ধরনের তেলকে বোঝানো হয় যা নিষ্কাশন করতে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে ফেনলজাতীয় যৌগের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
এই উপাদানটি একসঙ্গেই প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য উপকারী। অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেল
দক্ষিণে প্রায় সব রান্নাতেই নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়। তবে এখানে নারিকেল তেল জনপ্রিয় রূপচর্চার জন্য। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, নারিকেল তেলে মিডিয়াম-চেন ট্রাইগ্লিসারাইড্স। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। ঘি, মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে নারিকেল তেল খাওয়াই যায়।
ক্যানোলা তেল
কানাডায় সর্ষের তেলকে এক বিশেষ উপায়ে পরিশুদ্ধ করে এই তেল তৈরি করা হয়। ক্যানোলা তেলে উপস্থিত সম্পৃক্ত ফ্যাটের পরিমাণ সাত শতাংশ। অলিভ অয়েলের মতো এটিও অসম্পৃক্ত ফ্যাটে পদার্থের সমৃদ্ধ। এই তেল অলিভ অয়েলের তুলনায় আরও বেশি তাপমাত্রায় পোড়ে, তাই উচ্চ উষ্ণতায় রান্না হওয়া পদ ও ভাজাভুজির জন্য এই তেল বিশেষ উপযোগী। তবে সালাদ জাতীয় খাবারে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
তিসির তেল
গ্রাম বাংলার এক সময়ে খুবই প্রচলিত ছিল এই তেল। কিন্তু কালের নিয়মে এখন আর বিশেষ জনপ্রিয়তা নেই এই তেলের। অথচ খাদ্যগুণের দিক থেকে এই তেল কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এটি আলফা লাইনোলেনিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতেও এটি অত্যন্ত উপযোগী। তবে এই তেল গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। সালাদ খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য খুব ভালো একটি বিকল্প হতে পারে এই তেল।
তিলের তেল
রূপচর্চায় দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করা হয় তিলের তেল। তবে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই তেলের দেখা মেলে এশিয় খাবারে। সবজি থেকে সালাদের ড্রেসিং— সবেতেই ব্যবহার করা যায় তিলের তেল।