কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেত্রীসহ পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফুলপরী।
আজ বিকেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফুলপরী খাতুন প্রথম আলোর কাছে এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফুলপরী বলেন, ‘এটা ভালো। ন্যায়বিচার পেলাম। প্রথম থেকে যেটা চেয়েছিলাম, সেটা পেয়েছি।’
ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘মূলত এই বিচার আমার জন্য না, সবার নিরাপত্তার জন্য এটা। যাতে কেউ ভুল করেও এমন কিছু (আমার সঙ্গে যা হয়েছে) করার সাহস যেন না পায়। এ রকম কঠোর শাস্তি দিলে কেউ ইচ্ছা থাকলেও খারাপ কিছু করতে পারবে না। র্যাগিং, জুলুম কখনোই করবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় না, দেশের সব বিদ্যালয়ে আর এ রকম করার সাহস কেউ দেখাবে না। এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আজ বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেত্রীসহ পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
এর আগে গতকাল রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং সেটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক, আবাসিক বা অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্য চার ছাত্রী হলেন হালিমা আক্তার, ইসরাত জাহান, তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের গণরুমে আটকে রেখে ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতন করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর সারা দেশে আলোচনার জন্ম দেয়।