যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং রাজা চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করে লিথুয়ানিয়ায় রওনা হলেন বাইডেন।
সোমবার (১০ জুলাই) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই নিয়ে ছয়বার ঋষির সঙ্গে বৈঠক করলেন বাইডেন।
ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যনীতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল ডাউনিং স্ট্রিটের। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যে বাণিজ্যচুক্তি করেছিল, তা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল আইরিশ-আমেরিকান বাইডেনের। সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবিষয়ে একাধিকবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও সই হয়েছে।
এদিন এই বিষয়গুলি নিয়ে আরো একবার কথা হয় দুইজনের। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর বাইডেন জানিয়েছেন, ঋষি তার অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু। ঋষি ক্ষমতায় আসার পরে আমেরিকার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
এদিন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বৈঠকের পরেই সোজা রাজার প্রাসাদে উড়ে যান বাইডেন। তৃতীয় চার্সলের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয় তার। রাজপ্রাসাদে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কিছু বিশেষজ্ঞকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রাথমিক বৈঠকের পর তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাইডেন।
বাইডেন চার্লসকে জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রথম চারটি সমস্যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে রাখেন তিনি। এনিয়ে বহু কাজ হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি। চার্লসও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এবিষয়ে আরো কাজ হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে চার্লসের অভিষেকের সময় বাইডেনের যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষমুহুর্তে তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। বাইডেন তখনই ঘোষণা দিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি চার্লসের সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন। এতদিনে তা সম্ভব হলো।
সোমবার রাতে ন্যাটোর বৈঠকে যোগ দিতে লিথুয়ানিয়ায় যান বাইডেন।