গর্ভাবস্থা মহিলাদের জীবনের অত্যন্ত স্পেশাল একটা সময়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত। কিন্তু তারই সঙ্গে গর্ভাবস্থা নিয়ে আসে অত্যন্ত কষ্টকর কিছু অভিজ্ঞতা। গর্ভাবস্থায় মর্নিক সিকনেস, ওজন বেড়ে যাওয়ার মতোই আরও একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হল স্ট্রেচমার্ক। গর্ভবতী মহিলাদের পেটে ও কোমরে এক ধরনের সাদা ফাটা দাগ দেখা যায়। একেই স্ট্রেচ মার্ক বলে। গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়া ও পেট স্ফীত হয়ে যাওয়ার কারণে চামড়ায় টান পড়ে এই দাগের সৃষ্টি হয়। তবে অনেক সময় সময়ের সঙ্গে স্ট্রেচ মার্ক কিছুটা হালকা হয়ে যায়।
চায়ের লিকার: চায়ের লিকার স্ট্রেচমার্ক দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি ১২ সম্পন্ন চায়ের লিকার যেকোনও কালো দাগ তুলতে সাহায্য করে সহজে। এক কাপ লিকার ঠান্ডা করে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। এতে দূর হবে স্ট্রেচমার্কের দাগ।
তেল: তেল মালিশ করে কমানো যায় স্ট্রেচমার্কের সমস্যা। নারকেল তেল ছাড়াও, বাদাম তেল, ক্যাস্টাল অয়েল এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়াও ১৫ থেকে ২০ দিন টানা ভিটামিন ই তেল স্ট্রেচমার্কের জায়গায় বুলিয়ে নিন।
ডায়েট নিয়ে হোন সতর্ক: শরীরে স্ট্রেচমার্কের চিহ্ন মুছে ফেলতে হলে বেশি করে পানি পান করুন। লেবু, মুসাম্বি, আঙুর সমেত ভিটামিন সি সমৃদ্ধি ফল খান। এ ছাড়াও স্ট্রেচমার্ক নিয়ে বিরক্ত থাকলে পেঁপে, ব্রকলি, ভিটামিন ই রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে।
আলু: স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় দারুন উপকার দেয় আলু। আলুতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। আলু কেটে তার রস চিপে নিয়ে তা টানা ১ থেকে ২ সপ্তাহ ধরে লাগান স্ট্রেচ মার্কের জায়গায়।
চিনি: সামান্য চিনি নিন। এতে দিন সামান্য বাদাম তেল। তাতে মিশিয়ে নিন চার থেকে পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস। গোসলের আগে এই মিশ্রণটি ত্বকে মালিশ করুন, যেখানে রয়েছে স্ট্রেচমার্ক।
অ্যালোভেরা: প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে অ্যালোভেরাতে। যেকোনও দাগ থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা উপকারি। স্ট্রেচমার্কের জায়গায় লাগান অ্যালোভেরা জেল। সেটি ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন পরিষ্কার পানি দিয়ে।