বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোয় চুলের সাজে প্রাধান্য পাওয়া উচিত কনের পছন্দ, মুখের আকার, পোশাক এবং অনুষ্ঠানের ধরন। এমন একটি স্টাইল বেছে নিতে হবে, যা আরামও দেবে আবার আত্মবিশ্বাসও অটুট থাকবে। বিয়েতে চুলের সাজে এখন টেনে খোঁপা বেঁধে রাখার একটি ধারা চলছে।
আর হলুদের সাজে খোঁপা বেশি পছন্দ করছেন কনেরা। তবে লেহেঙ্গা পরলে চুল থাকছে খোলা। তবে পুরোনো কিংবা চলতি যে ধারাতেই যান না কেন, চুল সাজাতে এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফুল। ফুল দিয়ে চুল সাজানোর আবেদন কমেনি, দিন দিন বরং বাড়ছে।
হলুদ শাড়ির সঙ্গে গাঁদা ফুলের মালায় জড়ানো চুলের সাজ কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়। বেণিতে জড়াতে পারেন ফুলের মালা। গুঁজতে পারেন কাঠগোলাপ। এখন আবার খোঁপায় পরার উপযোগী কৃত্রিম ফুল পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও পরতে পারেন।
এ ছাড়া চুল সামনে থেকে হালকা পাফ করে পেছনে আঁটসাঁট বা এলোমেলো খোঁপাও করা যায়। লেহেঙ্গা, ঘারারা পরলে আঁটসাঁট খোঁপা না করে বরং চুল ছাড়া রাখছেন কনে। এ ক্ষেত্রে স্পাইরাল করে গয়না দিয়ে টুইস্ট করে বাঁধছেন। লম্বা চুলের কনে শাড়ি পরে লম্বা বেণি করতেও পছন্দ করছেন।
বিয়ের দিন চুলে থাকছে সিঁথিপাটি। খোঁপা কিংবা বেণিজুড়ে থাকছে জুঁই, অর্কিড, জিনিয়া। মাথাভর্তি করে ফুল পরার চল আগেও ছিল। বিয়েতে এখনো ওয়ান বান খুব জনপ্রিয়। এ ক্ষেত্রে একটা বড় খোঁপা পুরোটা ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। অনেকে খোঁপা করে তাতে গুঁজে দিতে পারেন সাদা পাথর অথবা কৃত্রিম মুক্তা। সাদা রঙের সুবিধা হলো, সব রঙের পোশাকের সঙ্গেই এটি মানিয়ে যায়। ঢিলেঢালা বেণি করে বসানো যেতে পারে পাথর বা মুক্তার কাঁটা। লম্বা কামিজ বা গাউনের সঙ্গে অগোছালো ধাঁচে খোঁপা করে তাতে গুঁজতে পারেন এসব।
যেকোনো শাড়ি বা গাউনের সঙ্গেই ভালো মানিয়ে যায় ফ্রেঞ্চ টুইস্ট বান। চুলের এই স্টাইলের জন্য সিঁথি করার প্রয়োজন নেই। প্রথমে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে মাথার ডান পাশে নিয়ে আসুন। একটা ক্লিপ দিয়ে এবার এমনভাবে আটকে নিন, যাতে চুলগুলো বাঁ দিকে চলে না আসে। ডান দিকের চুলগুলো একসঙ্গে নিয়ে রোল করে মাথার মাঝখানে নিয়ে আসুন। এমনভাবে ক্লিপ দিয়ে আটকান, যাতে রোলটা খুলে না যায়। খোঁপাটা এবার হাত দিয়ে সামান্য ছড়িয়ে দিন।
ফুলের তোড়া বান স্টাইলের জন্য চাই নানা রঙের সাদা ফুল। চুল টেনে পেছন দিকে নিয়ে একটু ঢিলেঢালা খোঁপা করুন। হাতখোঁপা হলেও চলবে। খোঁপার ওপর ফুলগুলো সুন্দর করে পিন দিয়ে আটকে দিন। একটু বেশি করে ফুল লাগাবেন, যাতে ভরাট দেখায় খোঁপাটা।
বাঙালি কনের চিরাচরিত সাজ ফুলের খোঁপা। মাথার মাঝখানে সিঁথি করে ভারী টিকলি পরতে পারেন। চওড়া মাথাপট্টিও খুব ভালো লাগবে। ফুল দিয়ে এবার খোঁপা ঢেকে ফেলুন। হতে পারে সেটা গোলাপ, গাঁদা বা জুঁই। রঙিন গাজরাও লাগাতে পারেন।
যেসব কনে ছিমছামভাবে চুল বাঁধতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ এক ফুলের সাজ। শাড়ির সঙ্গে বিপরীত রঙের একটা বড় ফুল কানের পাশে লাগান। হতে পারে সেটা ডালিয়া বা জারবেরা। সঙ্গে থাকুক খোঁপা। ওই একটা বড় ফুলই এখানে নজর কাড়বে।
শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাপ দিয়ে করতে পারেন সাধারণ হাতখোঁপা। প্রতিটি গোলাপ সুন্দর করে খোঁপার চারদিকে সাজিয়ে নিলেই
কাজ শেষ।
রিসেপশনে লেহেঙ্গা পরলে খোঁপা না করে চুল খুলে রাখুন। নিচের দিকে কোঁকড়া করে নিন। তারপর প্রথমে সামনের দিক সিঁথি করে নিন। পেছনের কিছুটা চুল নিয়ে ফুলিয়ে ক্লিপ লাগিয়ে দিন। বাকি চুল ছেড়ে রাখুন।