বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে কখনও পিছপা হয়নি বিএনপি। অনেকে অনেক কিছু করেছে কিন্তু বিএনপি কখনও দলীয় স্বার্থ হাসিল করেনি।জাতির প্রত্যেকটি অর্জনে গর্ব করার দল হচ্ছে বিএনপি। ১৯৭১, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ছিল গৌরবোজ্জ্বল অবদান।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান- এর নির্দেশনায় এ সাক্ষাৎপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কৃতকর্মের প্রতিবাদ ছিল সাত নভেম্বর। এরশাদকে জাতীয় বেইমান বলে ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে এরশাদের দলে ভিড়েছেন শেখ হাসিনা। ৯০ নিয়েও গর্ব করতে পারে না আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের আন্দোলন শেখ হাসিনার গর্ব করার নয়; পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।
বিএনপির সঙ্গে ছলচাতুরি করে কোনো লাভ হবে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে মেপে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,কোনো ভুল হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজনদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করতে হবে। স্বৈরাচারের প্রভাবে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধি ও সব ক্রিমিনাল একত্রিত হয়ে কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে, কোন দলকে সংগঠিত করলে তা অপরাধীদের দল হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট সচেতন। তারা কিন্তু উট পাখির ন্যায় বালির নিচে মাথা গুঁজে নেই।
পতিত শেখ হাসিনা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সেদেশের সরকার মিডিয়াকে প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।