চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী এবং কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের ৪ শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যার থানা মামলা নং-১২/৩৬৮।মামলার আবেদনে পেনাল কোডের ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৫০৬/১১৪ ধারায় আর্জি করা হয়।
মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর (৬৬) কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের সাবেক ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ও আইনজীবী বলে জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— কর্ণফুলী এ চৌধুরী কলেজ বর্তমান আব্দুল জলিল চৌধুরী কলেজ এর অধ্যক্ষ মো. জসীম উদ্দিন (৫২), সমীর রঞ্জন নাথ (৪৫), মনোয়ারা বেগম (৪২), শামীমা আক্তার চৌধুরী (৪৭), পাঁচলাইশ মির্জারপুল এলাকার মোস্তফা মো. ইমরান (৩৮), চকবাজার কাপাসগোলা এলাকার মনসুরুল আনোয়ার (৫৮), জয়সেন বড়ুয়া (৫০), সদরঘাট গোসাইডাঙার এম এ সেলিম (৫৫), কাজির দেউড়ি এলাকার আবদুস সালাম, পাঁচলাইশ এলাকার ছোটন দত্ত, জামাল খান এলাকার আবুল কাশেম, চকবাজার এলাকার মোক্তার আহাম্মদ প্রকাশ লেদু, ইলিয়াছ, আবু সৈয়দ, পটিয়ার কাজী মহি উদ্দিন (৫০) ও ভূজপুর থানার মো. ইয়াকুব (৫০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মিলনায়তনে আলাপ শেষে কোতোয়ালী থানার পশ্চিমে জনতার সমাবেশে বাদী যোগ দিলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বাদির বাম পা রক্তাক্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বাদীর অভিযোগ জনতার ফাঁকে গুলি করে তাঁকে মেরে ফেলতে পরস্পর যোগসাজেসে হামলা করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক বলেন, ‘মো. জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর বাদি হয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।