নড়াইলের কালিয়ায় এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জেরে আতাউর রহমান আফতাব (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিম পাড়া জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে বটতলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত আতাউর রহমান আফতাব কাঞ্চনপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে ও কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ- সভাপতি।
এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাবের সঙ্গে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আতাউর রহমান পরাজিত হওয়ার পর থেকে দ্বন্দ্ব আরও চরম আকার ধারণ করে। এরই জেরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাব বাড়ি থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল সমর্থিত লোকজন কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বলে অভিযোগ আহতের স্বজনদের। কোপে তার বাম হাত ঝুলে আছে, ডান হাত, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কোপের আঘাত রয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আতাউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব আছে। দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় থানায় একাধিক মামলাও আছে। গতকালেরে ঘটনায় অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।