আল-মুসলিম গ্রুপের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার ছেলে রাজধানী ওয়ারী এলাকায় বাড়ি দখলের মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করাসহ নানাভাবে এ অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।উল্টো আল মুসলিম গ্রপের সঙ্গে আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীর প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার ছেলের বিচার চেয়েছে আল-মুসলিম গ্রুপ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসাব অর্থ ও ট্যাক্স মো. ফিরোজ আহমেদ।
লিখত বক্তব্যে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ডিএমপি ওয়ারী থানাধীন ১নং নবাব স্ট্রিট হোল্ডিং এ ৯২.০৫ শতাংশ জমি কেনার জন্য ২০১১ সালে ও ২০১৪ সালে সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে ২ দফা চুক্তি হয়। এ সময় তাকে ১০ কোটি টাকাও দেওয়া হয়। তবে দুই দফাতেই আজাহারুল কবীর প্রয়োজনীয় দলিলপত্র বুঝিয়ে দিতে ও জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিতে ব্যর্থ হয়। পরে তল্লাশি দিয়ে দেখা যায় যে তিনি সম্পূর্ণ অংশের মালিক নন। ১ ষোল আনা অংশের মধ্যে রেকর্ডীয় মালিক সৈয়দ আজাহারুল কবীরের মালিকানা ৬.১৩ শতাংশে মাত্র। আজাহারুল কবীরের সৃজিত নামজারিও ভুয়া ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জমির রেকর্ডীয় মালিক সৈয়দ আজাহারুল কবীরের আপন ভ্রাতাগন সৈয়দ জহিরুল কবীর ২৬.০০ কাঠা, হুমায়ুন কবীর ৩.৭৫ কাঠা, জাকির আহমেদ গং ১০.৫০ শতাংশ সর্বমোট ৪০.২৫ কাঠা জমির মূল্য ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে আল-মুসলিম গ্রুপকে স্বত্ব দখল বুঝায়ে দিয়ে চলে যায়।
মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, পরে চলতি বছরের ১২ মে সৈয়দ আজাহারুল কবীরের স্বত্ত্ব দখলীয় অংশটুকু ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা গ্রহণ করত: এক দ্বিপাক্ষিক আপোষ চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ঢাকা এর মানি মোকদ্দমা ৩১/১৬ সৈয়দ আজাহারুল কবীরের উপস্থিতিতে মামলাটি সোলেনামা মূলে নিস্পত্তি হয়। এ সোলেনামার শর্ত অনুযায়ী সৈয়দ আজাহারুল কবীরের এ হোল্ডিংয়ে আর কোনো অংশ অবশিষ্ট নেই।
তিনি আরও বলেন, তবে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে গত ৭ আগস্ট সৈয়দ আজাহারুল কবীর, তার ছেলে সৈয়দ এজাজ কবীর, আলতাফুল হুদা অস্ত্রধারী লোকজন নিয়ে আমাদের স্বত্বাধীন জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ওপর হামলা করে এবং গুলি বর্ষণ করে লোকদের তাড়িয়ে দেয়। অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মেশিন, সমস্ত মালামাল নিয়ে যায় ও আমাদের জমিতে বেআইনি অনুপ্রবেশ করে। এ সময় আমাদের প্রসাশনিক অফিসার মো. তুষার আহম্মেদ বামপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া আল-মুসলিম বিল্ডার্সের কর্মকর্তা কর্মচারীর নামে বিভিন্ন পত্রিকায় অসত্য তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে তারা।
গত মঙ্গলবার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ্য করার জন্য দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালানো, বাড়ীর ফটক আসবাবপত্র ভাঙচুর, অস্ত্রলুট, মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে আল-মুসলিম বিল্ডার্স লিমিটেডকে জড়িয়ে ওই মিথ্যা, অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত করে তারা। যার সঙ্গে আল-মুসলিম বিল্ডার্স লিমিটেডের লোকবলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন মো. ফিরোজ আহমেদ।