পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডসকে খুব একটা সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। একইসঙ্গে তুলে নিয়েছে দুই উইকেটও।কিন্তু সপ্তম ওভারে সাকিব আল হাসানকে পরপর দুটি ছক্কা মেরে যেন সেই চাপটা দূর করে দিলেন বিক্রমজিত সিং। এরপর উল্টো টাইগারদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন স্কট এডওয়ার্ডস ও সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট। সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ডাচদের সংগ্রহ ১১৬ রান। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ২৫ ও লোগান ফন বিক ব্যাট করছেন ২ রানে।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। রানে ফিরে ২০ মাস পর ফিফটির দেখা পান সাকিব আল হাসান। ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মাঝারি মানের পুঁজির পর মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে প্রথম ওভার তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই ওভারে পাঁচ রান দেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় ওভারে সমান রান দেন তানজিম হাসানও। তৃতীয় ওভারে একটি ছক্কা হজম করেন তাসকিন আহমেদ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন ডানহাতি এই পেসার। তার বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ১৮ রান করা লেভিট। পরের ওভারে নিজের বলে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ১২ রান করা ও ডাউডকে ফেরান তানজিম।
মাঝের ওভারে ডাচদের রানের গতি বাড়াতে থাকেন বিক্রম। ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মাহমুদউল্লা রিয়াদ। এরপর এঙ্গেলব্রেখট ও এডওয়ার্ডস মিলে চাপ বাড়ান বাংলাদেশের ওপর। ১৫তম ওভারে ৪২ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ। প্রথমে ২২ বলে ৩৩ রান করা এঙ্গেলব্রেখটকে পরিণত করেন তানজিমের ক্যাচে। দুই বল পর বোকা বানান বাস ডি লিডিকে। রিশাদের লেগ স্পিন বুঝতে না পেরে কিছুটা বেরিয়ে আসেন ডি লিডি। সুযোগ পেয়ে তাকে স্টাম্পিং করতে কোনো ভুল করেননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস।