একজনের কাঁধে উঠেছে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। আরেকজন এখন ফেরার লড়াইয়ে।নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুজনই ঘরের মাঠে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন একসঙ্গে। পরে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত খেলেছেন একই দলে।
সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে তিন ফরম্যাটেই এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত। লম্বা ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলের মাঝপথে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন। এখন তার আশা, জাতীয় দলে ফেরার জন্য সমর্থন পাবেন শান্তর কাছ থেকে।
শুক্রবার ফরচুন বরিশালের অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, ‘গতকালকে ফোনে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি অনেক খুশি কারণ সেই বাল্যকাল থেকে বয়সভিত্তিকে খেলে আসছি, দীর্ঘদিন আবাহনীর হয়ে খেলছি। আমাকে ও ভালো বুঝবে। ওর সামনে আমি অনেকগুলো সেরা ইনিংস সেটা ব্যাটিং হোক, বোলিং হোক করে দেখিয়েছি। আমার বিশ্বাস ও আমাকে সমর্থন দেবে দলে ফেরার ক্ষেত্রে। ’
এবারের বিপিএলের শুরুর দিকে সাইফউদ্দিন খেলতে পারেননি বিসিবির ছাড়পত্র না পাওয়ায়। পরে ফিরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। ওই ম্যাচে ২ চার ও সমান ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রান করেন সাইফউদ্দিন।
পরের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও বল হাতে নেন তিন উইকেট। সবশেষ ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। এর আগে ব্যাট হাতে ৬ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘সত্যি বলতে বিগত কয়েকমাস ধরে ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করেছি। মাস্কোতে গিয়ে সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি, মিরপুরে যখন ছিলাম কোচ বাবুল স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি, মেশিনে ব্যাটিং করেছি। হয়তো ওইটার একটা কারণ হতে পারে। ’
‘আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দেয়ার। যেহেতু বোলিং করা নিষেধ ছিল তাই ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি। আসলে অনেক কিছু প্রমাণ করার বাকি আছে। একটা দুইটা ম্যাচ দেখে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নাই। আরও যদি সুযোগ পাই আরও বড় দলের সঙ্গে যদি করতে পারি তখন হয়ত বুঝবো কতটা উন্নতি হয়েছে। ’
কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এই সিরিজে নেই সাইফউদ্দিন। দল ঘোষণার আগে অবধি সেভাবে খেলাতেই ফেরেননি এই অলরাউন্ডার। এখন তার আশা, শ্রীলঙ্কা সিরিজে না হলেও পরে জাতীয় দলে ফেরার।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি ইনজুরি থেকে উঠে এসেছি তাই হয়ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে পরিকল্পনায় রাখেনি। আমি আশাবাদী যদি আরও ভালো খেলি। যেহেতু শ্রীলঙ্কা সিরিজ মিস হয়েছে, সামনে বিশ্বকাপের আগে যে সিরিজ থাকবে সেখানে হয়ত বিবেচনা করবে। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সেরাটা দিয়ে অনুশীলন করার চেষ্টা করব, নির্বাচকদের নজরে আসার চেষ্টা করবো। ’
‘সত্যি বলতে আমার তো আর হারানোর কিছু নেই, পাওয়ার অনেক কিছু ছিল। ইনশাআল্লাহ আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেমন নিজের সেরাটা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায় আমিও ওই চিন্তা ভাবনা নিয়েই মাঠে নেমেছি। যদিও আমি আমার সেরাটা দিতে পেরেছি কি না জানি না। তবে চেষ্টা করছি আরও ভালো করতে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে সামনে নিয়ে যেতে। ’