শেষ দুই ওভারে দরকার ৩৭ রান। ফরচুন বরিশালের সমীকরণ অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল ১৯তম ওভারের শেষ বল অবধিও।কিন্তু ওই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ কিছুটা সহজ করেন শোয়েব মালিক। শেষ ওভারে দরকার ১৮ রান, প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে চার ছক্কায় দলকে জিতিয়ে দেন শোয়েব মালিক।
শনিবার সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে খুলনা। রান তাড়ায় নেমে ২ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। এবারের টুর্নামেন্টে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথমবার হারলো খুলনা। ৫ ম্যাচ খেলে ৪ জয় ও এক হারে শীর্ষে আছে তারা। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে পাঁচে বরিশাল।
এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা। আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান এনামুল হক বিজয়। ১৩ বলে ১২ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর তিনে খেলতে নেমে ৭ বলে ২ রান করে রান আউট হয়ে যান হাবিবুর রহমান সোহান। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪২ রান করতে দুই উইকেট হারায় তারা।
এরপর দলকে আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু শোয়েব মালিকের করা নবম ওভারে দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। প্রথমে ২৪ বলে ৩৩ রান করা ইমনকে এলবিডব্লিউ করেন মালিক। পরের বলে নতুন ব্যাটার আফিফ ক্যাচ দেন মিড উইকেটে।
৬১ রানে ৪ উইকেট হারানো খুলনার চাপ আরও বাড়ে তাইজুল ইসলাম মাহমুদুল হাসান জয় ও দাসুন শানাকাকে ফেরালে। অবশ্য শুরু থেকে ভুগতে থাকা খুলনা শেষে এসে রান পেয়ে যায়। শেষ ৪ ওভারে তারা করে ৬৭ রান। ২৪ বল থেকে এই রানের জুটি গড়েন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।
ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ৩২ রান করেন ফাহিম। এছাড়া ৪ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। বরিশালের পক্ষে ৩ ওভারে স্রেফ ৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দুই উইকেট নেওয়া শোয়েব মালিক ৪ ওভারে দেন ২৪ রান।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। দ্বিতীয় ওভারেই আহমেদ শেহজাদ নাহিদুলের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। তিন বল খেলে তখনও কোনো রান করতে পারেননি তিনি। নাহিদুলের করা পরের ওভারে অবশ্য ১৫ রান নেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
তামিম নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৮ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন হাবিবুর রহমান সোহানের হাতে। দারুণ শুরুর পরও ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন ফাহিম আশরাফের বলে ক্যাচ দিয়ে।
সময়ের সঙ্গে ম্যাচ কঠিন হতে থাকে বরিশালের জন্য। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে গেলে সেটি আরও বেশি হয়। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক ২৩ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে জেতান। ১ চার ও ৩ ছক্কায় মিরাজ ১৫ বলে ৩১ রান এবং ৩ ছক্কা, ১ চারে ২৫ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।