ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে চলছে পালাবদল। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়েই দল সাজাতে হয়েছে তাদের।অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে ক্যারিবীয়দের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি।
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের দাপটে সফরকারীরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৮৮ রানে। এরপর তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে অজিরা। এখনো পিছিয়ে আছে ১২৯ রানে।
দুই অজি পেসার জশ হ্যাজলউড ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বোলিং ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে উইন্ডিজ। দুইজনেরই শিকার চারটি করে উইকেট। শুরুটা করেছিলেন কামিন্স, ত্যাগনারায়ণ চন্দরপলকে আউট করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। টপ অর্ডারের কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শুধু ব্যতিক্রম কার্ক ম্যাকেঞ্জি। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই ব্যাটার করেছেন ফিফটি। তবে এরপরেই হ্যাজলউডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১১তম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন হ্যাজলউড।
১৩৩ রানে নবম উইকেট হারালেও শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়েন কেমার রোচ ও প্রথম টেস্ট খেলতে নামা পেসার সামার জোসেফ। দুইজনের দৃঢ়তায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। ৪১ বলে জোসেফ করেন ৩৬ রান, আর রোচের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। যেখানে প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্টিভেন স্মিথের। ২৬ বল খেলে ফিরেছেন মাত্র ১২ রান করে। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্মিথকে ফিরিয়ে টেস্ট অভিষেক স্মরণীয় করে রেখেছেন সামার জোসেফ। টিকতে পারেননি মার্নাস লাবুশেনেও। জোসেফের বলে মতিয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন ১০ রান। আরেক ওপেনার উসমান খাজা অপরাজিত আছেন ৩০ রানে। ৬ রানে অপরাজিত আছেন ক্যামেরন গ্রিন।