শীতকালে গোসল করার ক্ষেত্রে গরম পানি অন্যতম একটি উপাদান। এই সময়টাতে তরুণ-যুবক ছাড়া শিশু বা বৃদ্ধদের জন্য গরম পানি একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়।পানি গরম করতে গ্যাস কিংবা ওয়াটার হিটার ব্যবহার করেন অনেকেই। এই সব ঝক্কি ঝামেলা থেকে বাঁচতে অনেকেই গোসলখানায় গিজার লাগান। কিন্তু গোসল করতে করতে গরম পানি শেষ হয়ে গেলে ওই অবস্থায় বেরিয়ে আবার সুইচ দিতে ছুটতে হয়। সেখান থেকে বিপদের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে অনেকেই আবার স্বয়ংক্রিয় গিজার কেনেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনটি নিরাপদ? কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা জানেন কি?
১) নতুন ধরনের সব কটি গিজারই ‘অটোমেটিক’ প্রযুক্তি সম্পন্ন। অর্থাৎ পানি গরম হয়ে গেলে নিজে থেকেই সেই যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুরনো আমলের গিজারে এই ব্যবস্থা থাকে না। ফলে গোসল করতে করতে গিজার বন্ধ করার জন্য বাইরে আসতে হয়। ভিজে হাত সুইচে দিলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়।
২) হিটার বা গিজার থেকে উৎপন্ন কার্বন মোনো-অক্সাইড যে প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, সে কথা অনেকেই জানেন। তাই গোসলখানায় হিটার বা গিজার থাকলে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। প্রয়োজনে শৌচাগারে অ্যাডজাস্ট ফ্যানও লাগানো যেতে পারে।
৩) যে সংস্থারই গিজার কিনুন না কেন, কেনার আগে অবশ্যই ‘আইএসআই’ চিহ্ন দেখে নিতে হবে। পয়সা সাশ্রয়ের জন্য বেনামী কোনো সংস্থার গিজার না কেনাই ভালো।
৪) যে সংস্থারই হিটার বা গিজার কিনুন না কেন, তা ‘ইনস্টল’ করার জন্য ওই সংস্থার কর্মীদের ওপর ভরসা করতে হয়। চাহিদা বেশি থাকায় কর্মীরা সময়মতো সেই পরিষেবা দিতে পারেন না। তাই বলে নিজ হাতে গিজার লাগাতে যাবেন না। গিজার বা হিটার লাগানোর পদ্ধতিতে ভুল হলে যেকোনো সময়েই বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
৫) গিজারের সুইচ দিয়ে ভুলে যাওয়া কিংবা অনেক দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ তা ব্যবহার করতে শুরু করা— বিপদ যেকোনো দিক থেকেই আসতে পারে। সুতরাং বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকাই বাঞ্ছনীয়।