এক বছরের মধ্যে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের সরকারি কোনো হাসপাতালে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হননি।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার হাসপাতাল ও দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগী ভর্তি হননি।
পরিচালক আরও বলেন, মূলত গত এক মাস ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করে। জানুয়ারিতে এসে রোগী ভর্তির সংখ্যা এক অঙ্কে চলে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। এরপর থেকে রোগী কমতে শুরু করে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ ও ১১ জানুয়ারি কোনো রোগী ভর্তি হননি বরিশাল বিভাগের কোনো হাসপাতালে।
বরিশাল বিভাগে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ভর্তি হন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে।
২৩ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। সর্বোচ্চ রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর। এ ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ড. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভাগের হাসপাতালে মোট ৩৮ হাজার ১০৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ২০৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৩ জন।
তিনি আরও জানান, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬৭ জন রোগী মারা গেছেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সাতজন। এ ছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে চারজন, পটুয়াখালীতে দুজন, ভোলায় ১০ জন, পিরোজপুরে ১২ জন, বরগুনায় ছয়জন ও ঝালকাঠিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।