পিরোজপুরের নাজিরপুরে মো. লাইজু শেখ (৩৬) নামে নৌকার এক সমর্থককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে পরাজিত স্বতন্ত্র (ঈগল প্রতীক) প্রার্থীর লোকজন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা আল নোমান রনি (২০) নামে এক যুবককে তারা আটকে রাখে।
সোমবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের ষোলশত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল।
প্রত্যক্ষদর্শী আল নোমান রনি জানান, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি খেজুরতলা তার নানা গাউস খান ও লাইজু শেখ তার শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুর থেকে একসঙ্গে ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় জোড়া কালভার্ট সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা জব্বার খানের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে আগে থেকে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল প্রতীক) ২০/২৫ জন লোক তাদের আটকে লাইজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় লাইজুর সঙ্গে থাকায় তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জব্বার খানের বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। স্থানীয়রা লাইজুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় কোপানোর ঘটনা ধামাচাপা দিকে ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ভাঙা ঘরে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার অসিত কুমার মিস্ত্রী বলেন, আহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর শুনে সেখানে পুলিশ ও নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গিয়েছিলাম। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে, তবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।