একের পর এক রেকর্ড গড়ে মাত্র দেড় দিনেই শেষ হলো কেপটাউন টেস্ট। বল হিসেবে প্রায় ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ছোট ম্যাচে যেখানে হার-জিতের ব্যবধান মিলেছে।ছোট টেস্টের রেকর্ডগুলো তুলে ধরা হলো—
৬৪২: কেপটাউন টেস্ট মাত্র ৬৪২ বল স্থায়ী হয়। বলের হিসেবে এর আগে সবচেয়ে ছোট টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৩২ সালে। যা টিকেছিল ৬৫৬ বল পর্যন্ত।
১: কেপটাউনের নিউল্যান্ডস মাঠে ছয়বারের চেষ্টায় এবারই প্রথম জয় পেল ভারত। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পরে ব্যাটিংয়ে নেমেও প্রথম জয় তাদের।
২: ভারত জয় পেয়েছে কিন্তু কোনো ব্যাটার ফিফটি করতে পারেননি এমনটা দ্বিতীয়বার ঘটল। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৪৬ রানই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই নাগপুরে এমন জয় পেয়েছে ভারত। সেবার সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মুরালি বিজয়।
৪: এনিয়ে চতুর্থবার কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে দুই দিনের ভেতর কোনো টেস্ট শেষ হলো। ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালের সঙ্গে যৌথভাবে এই রেকর্ডের মালিক ভেন্যুটি।
২: ভারতের দুই জন পেসার (বুমরাহ ও সিরাজ) ইনিংসে ছয় উইকেট শিকার করেছেন। যা দ্বিতীয়বার দেখা গেল। এর আগে ২০১৪ লর্ডস টেস্টে ইনিংসে ছয় বা তার বেশি উইকেট পেয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ইশান্ত শর্মা।
৬০.২৩: দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানের ৬০.২৩ শতাংশ রানই এসেছে এইডেন মারক্রামের ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক ইনিংসে এককভাবে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন ১০৬ রান করা এই ব্যাটার। আগের রেকর্ডটি ছিল হার্বি টেলরের (৫৯.৮৯ শতাংশ)।
১২: দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন ডিন এলগার। যেখানে মারক্রাম করেছেন ১০৬। প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চর মধ্যে রানের এতো বড় পার্থক্য রেকর্ডই করেছে। একজন সেঞ্চুরি করা ইনিংসে অলআউট হওয়া কোনো দলের হয়ে এর চেয়ে কম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেনি কোনো ব্যাটার। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৯৮ সালের সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে। যেখানে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান করেন ড্যারিল কালিনিয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন গ্যারি কারস্টেন ও মার্ক বাউচার।
এছাড়া মারক্রাম সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার যেখানে তার দলের কেউই দুই ইনিংসের এক ইনিংসেও ২০ রান করতে পারেননি।
৩: জয়ী দলের কেউই ফিফটি করতে পারেননি অথচ পরাজিত দলে সেঞ্চুরি করেছেন একজন— এমন ঘটনা তৃতীয়বার ঘটল। এর আগে ১৯৬৩ সালে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট ও ২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ে টেস্টে এমনটা দেখা গেছে।
০: নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র শূন্য রানে শেষ ছয় উইকেট হারিয়েছে ভারত। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে প্রথমবার।