বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাঁরা রাজনৈতিক কর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে, কিন্তু বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে। এখানেই হচ্ছে বিপত্তি।’
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে’—বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে, এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকার কারও ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। কিন্তু যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনো করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘পদত্যাগের দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে দেখে সরকারের সিংহাসন টলমল করছে’—এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব কি এটা জেগে বলেছেন না ঘুমিয়ে বলেছেন এবং তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য কেমন, সেটি আমার প্রশ্ন। দেশে কোথাও তাঁরা তাঁদের কর্মীদেরও নামাতে পারেননি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। আসলে ২০০-৪০০ মানুষ নিয়ে তাঁরা মিটিং করতে অভ্যস্ত। এখন দু-চার হাজার দেখে মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, এই হচ্ছে সমস্যা।’
চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি এবং কেব্ল টিভির বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ আইপি টিভির অফিস সিলগালা করেছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়। এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৬টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসবে। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই দেখা যায় যে এই টিভি চ্যানেলের মতো একই ধরনের বুম আর ছোট একটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নেই, এরা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।’
হাছান মাহমুদ জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযান চালাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই, যারা চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।