ব্যাগটিকে তুলনা করা যেতে পারে একটি ক্ষুদ্র ধূলিকণার সঙ্গে, যা কিনা দেখতে হলেও লাগবে মাইক্রোস্কোপ বা অণুবীক্ষণযন্ত্র। সে জন্যই ব্যাগটির নাম রাখা হয়েছে ‘মাইক্রোস্কপিক হ্যান্ডব্যাগ’।
এতই ছোট ব্যাগ যে কিছুই আঁটে না। নেওয়া, না–নেওয়া সমান কথা। তবুও আজকাল ফ্যাশনের এক নতুন প্রবণতা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে ছোট থেকেও ছোটতর এসব ব্যাগ। ব্যবহারগত কোনো উপযোগিতা এসব ব্যাগের নেই, পুরোটাই আসলে ফ্যাশন। বলিউডের আলিয়া ভাট, অনন্যা পান্ডে, প্রিয়াংকা চোপড়া থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের অনেক তারকার হাতেই শোভা পাচ্ছে এ ধরনের ব্যাগ।
তবে এবার এই প্রবণতাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে আমেরিকান ফ্যাশন ব্র্যান্ড মিসচিফ। রক্তাক্ত বুট জুতা আর স্নিকারস তৈরির জন্য বিতর্কিত এই ব্র্যান্ড এবার বানিয়ে ফেলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম হাতব্যাগ।
ব্যাগটি খালি চোখে দেখাই অসম্ভব। লম্বায় ৬৫৭ মাইক্রোমিটার, প্রস্থে ২২২ মাইক্রোমিটার আর উচ্চতা ৭০০ মাইক্রোমিটার। ব্যাগটিকে তুলনা করা যেতে পারে একটি ক্ষুদ্র ধূলিকণার সঙ্গে, যা কিনা দেখতে হলেও লাগবে মাইক্রোস্কোপ বা অণুবীক্ষণযন্ত্র। সে জন্যই ব্যাগটির নাম রাখা হয়েছে ‘মাইক্রোস্কপিক হ্যান্ডব্যাগ’। ব্যাগটির রং সবুজ। লুই ভুইতোঁর ডিজাইনে তৈরি হলে কি হবে, ফ্রেঞ্চ কোম্পানিটির কোনো অনুমতি নেয়নি মিসচিফ।
এমন অব্যবহার্য এবং অর্থহীন ব্যাগের কথা শুনতে বেশ হাস্যকর! কিন্তু তাতে কি? ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে পোশাক, জুতা, গয়নার পর হাতব্যাগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আর ফ্যাশন যে শুধু পরিধানেই সীমাবদ্ধ নয়, ক্ষুদ্রতম ব্যাগটি যেন এটাই প্রমাণ করবে।
২০ জুন থেকে প্যারিসের মাতিনো গ্যালারিতে ব্যাগটি প্রদর্শিত হচ্ছে, রাখা হবে ২৪ জুন পর্যন্ত। একটা মাইক্রোস্কোপের নিচে একেবারে সিলগালা একটি কাচের বাক্সে ব্যাগটি রাখা। এ ছাড়া ১৯ থেকে ২৭ জুন বিক্রির জন্য ব্যাগটি নিলামে ওঠাবে ফ্যারেল উইলিয়ামের নিলামঘর জুপিটার। দাম কত হাঁকা হবে, এখনো জানা না গেলেও বলা হচ্ছে গুচি, ডিওর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল সব ব্যাগের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে এই ব্যাগ। তখন চাইলে কিনতে পারবেন যে কেউ।