টাকা নিয়ে গান না গাওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া প্রতারণার মামলায় আলোচিত-সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় হওয়া প্রতারণার মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়। অপর দিকে নোবেলের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন।
আদালত সূত্র জানায়, উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে নোবেলকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। নোবলের রিমান্ডের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (লালবাগ বিভাগ) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
মামলায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। গত মঙ্গলবার নোবেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন সাফায়েত ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
শনিবার নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারণার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গান গাওয়ার কথা বলে গান না গাওয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় সাফায়েত ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ২০১৬ সালে যাঁরা ওই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা পুনর্মিলনী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পরে শিল্পী হিসেবে নোবেলের সঙ্গে তিনি মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলের হীরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় নোবেলের সঙ্গে তিনি ও তাঁর এক বন্ধু বৈঠক করেন। সেখানে তাঁদের কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়।
সেদিনই তাঁকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নোবেল জানান, অনুষ্ঠানের আগেই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর দুই দফায় তাঁর ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নোবেল সেই টাকা তুলেও নেন। কিন্তু ২৮ এপ্রিল তিনি অনুষ্ঠানে আসেননি।