শিশুর যথাযথ আবেগীয় বিকাশ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেড়ে ওঠার জন্য এই চারটি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্যারেন্টিং সেন্টার অনুসারে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
শিশু ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার সঙ্গে কড়া ভাষায় কথা বলেন বা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, অথবা ঘুম থেকে ওঠার পর বাসার পরিবেশ যদি থমথমে থাকে, তা শিশুমনে সরাসরি ও দীর্ঘ সময়ের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার ঘুম থেকে ওঠার পর যদি মা-বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ট সময় কাটাতে পারে, তা শিশুর আবেগীয় বিকাশের জন্য সবচেয়ে সহায়ক। তাই শিশু ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুক্ষণ বিছানায় শিশুকে জড়িয়ে রাখুন। আপনি যে তাকে ভালোবাসেন, তা মন খুলে জানান। শিশুর সঙ্গে কয়েক মিনিট ঘনিষ্ট সময় কাটান। তারপর বিছানা ছাড়ুন।
শিশু যখন স্কুলে যায়, তখন নিজের অজান্তেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কেননা সে নিরাপদ জায়গা, মা–বাবার কাছ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে যায়। তাই এই সময় যদি শিশুকে বকা দেন বা শাসন করেন, তাহলে সে আরও বেশি করে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। শিশুকালের এই অনিরাপদবোধ থেকে শিশুর ভেতর নেতিবাচক চিন্তা, দুশ্চিন্তা, ভয়, আশঙ্কা আর আত্মবিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় শিশুকে আদর করে দিন। চুমু খান। হাসিমুখে বিদায় জানান।
আপনি জানেন না, স্কুলে তাঁর সময়টা কেমন গেছে। তাই স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুর স্বস্তি আর আরামের দিকে নজর দিন। স্কুলে কী কী হলো, জানতে চান। শিশু স্কুল থেকে ফেরার পর তার সঙ্গে খানিকক্ষণ সময় কাটান। শিশুর কথা মন দিয়ে শুনুন।
এটিও শিশুর সঙ্গে আবেগীয় ঘনিষ্টতা তৈরির জন্য খুবই জরুরি একটি সময়। এই সময় শিশুর সঙ্গে মা–বাবার ইতিবাচক, আনন্দঘন মুহূর্ত শিশুর স্নায়ু শান্ত করে। গভীর ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে শিশুর আবেগীয় বিকাশেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।