৩ কোটির ক্যাশ চেক: সবেদ আলী ও ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি

৩ কোটির ক্যাশ চেক: সবেদ আলী ও ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি

একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ শিরোনামে প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনরকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত ওই সংবাদের জেরে চেকের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চেকের মালিক মো. সবেদ আলীর বিষয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারশি করে তদন্ত কমিটি। বিষয়টি উল্লেখ করে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট মিডিয়াকে এ ধরনের গুজব ও অসমর্থিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানায় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার সচিবকে পাঠানো চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে অনুরোধ করেছে।

এ ছাড়াও, তদন্ত কমিটি পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, লক্ষ্মীবাজার উপশাখার ম্যানেজার আরিফুল হাসান মিয়া কেওয়াইসি (নো ইওয়োর কাস্টমার) এর সঠিকতা যাচাই না করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মো. মীর্জা সবেদ আলীর ব্যাংক হিসাব খোলার কারণে ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো যায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অপর চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকের এ ধরনের দুর্বলতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে ভবিষ্যতে অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে সকল ব্যাংকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই দিনই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সচিবালয়ে ব্রিফিং করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়নের বিষয়টি ভিত্তিহীন, চেকের বিষয়টিও ভুয়া। তদন্ত কমিটি বেশকিছু সুপারিশ করেছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS