বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোট ৩৭ জন এমপি, মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। এদের মধ্যে নয়জনকে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।এছাড়া কারাগারে ১৪৩ জন বিদেশি বন্দি রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ‘কারা অধিদপ্তরে কারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কিত ব্রিফিংয়ে’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গত ৫ আগস্ট এর পরে যে-সব মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারা কারাগারে কোনো ডিভিশন পাচ্ছে কিনা- প্রশ্ন করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি গেজেটেড অফিসাররা কারাগারে এলে ডিভিশন পেয়ে যান। বাকি যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি বা এমপি-মন্ত্রী তারা আবেদন করবেন অথবা এ বিষয়ে আদালত বললে আমরা ব্যবস্থা করবো। আর যাদের বিষয়ে আদালত বলবেন না তারা যদি আবেদন করেন তখন সে আবেদনটি ডিসির কাছে পাঠাবো, ডিসি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমরা তাদের ডিভিশন দিতে পারবো।
এ প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে বিশেষ বন্দি (সাবেক এমপি-মন্ত্রী) মোট ৩৭ জন। তাদের মধ্যে নয়জন ডিভিশন পাচ্ছেন আর বাকিদের পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
কারাগারে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জুলাই ও আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের মধ্যে কতজন বন্দি এখনও কারাগারে আছেন আর কতজন জামিন পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলন চলার সময় যে ধরনের মামলা হয়েছিল এবং গ্রেপ্তার হয়েছিল এ ধরনের বন্দি এখন আমাদের কাছে নেই। সবাই জামিন পেয়ে হয়ে বের হয়েছেন। আন্দোলনের সময় বন্দি সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার এখন ৫৫ হাজার। তাহলে বলা যায়, ওই সময় এসব মামলায় গ্রেপ্তার প্রায় ১৫ হাজার বন্দি ধীরে ধীরে জামিন পেয়ে বের হয়েছেন।
বিদেশি বন্দিদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সাজা ভোগ হওয়ার পরও তাদের অনেকে জেলে থেকে যান। এখন পর্যন্ত কতজন বিদেশি বন্দি আছেন এবং তাদের বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- জানতে চাইলে আইজি প্রিজন্স বলেন, বিদেশি বন্দিদের সাজা শেষ হয়ে গেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরে তাদের ডি-পোর্ট করা হয়। এখন কারাগারে মোট ১৪৩ জন বিদেশি বন্দি রয়েছেন। ক্লিয়ারেন্স পেলে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে