‘সব ধর্মের ও মতাদর্শের মানুষদের নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলবো’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আশাবাদী, কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী, কোনো দলের নয়। এরা যতই চেষ্টা করুক তারা এ দেশের সম্প্রীতি বন্ধন , সৌহার্দ্য নষ্ট করতে পারবে না। এবারও প্রমাণ হয়েছে অনেক চেষ্টা করে সম্প্রীতি , সৌহার্দ্য বিনষ্ট করতে পায়নি। সব ধর্মের ও মতের মানুষদের নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলবো।
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যে সেটিকে নিজের সমস্যা বলে মনে করি, সেগুলো তুলে ধরে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আসুন ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য আবার সেই চেতনাকে পরিস্ফূটিত করি। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করি।
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেন, , বাংলাদেশের বর্তমান ক্লান্তিকালে আমরা দেশের বিরাজিত পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। আমরা শান্তি চাই, স্বস্তি চাই, আমরা বাঁচতে চাই। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নানা দলের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কথাগুলো এ দেশের যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই স্বপ্নের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, আমরা দফা দাবি তুলে ধরেছি, দল ক্ষমতায় গেলে বিএনপি এটি পজিটিভলি বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহাসচিব। আমরা এখন থেকে অতীতের সব ভুলে গিয়ে সবাই একসাথে কাজ করবো।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।