অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের কথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে অফিস করে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এটার মেয়াদের ব্যাপারে এখনও কথা হয়নি।
তিনি বলেন, দুটো জিনিস মাথায় রাখবেন- রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন। সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা এই সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়। আমরা দেখেছি পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণকে নির্যাতনের উইপন (অস্ত্র) হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু কিছু ভালো সেবা পেয়েছি, কিছু কিছু ভালো মানুষ আছে। কিন্তু পুরো ব্যবস্থা এমনভাবে দাঁড় করিয়েছিল যে ভিন্নমত পোষণকারী মানুষ, মৌলিক অধিকার চর্চার মানুষের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। এই সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা মানুষের আছে। স্কারের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকার দরকার আমরা ততদিন থাকবো। বেশিও না, কমও না।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তো আপনারা জানেন। এখানে যদি থরো ওভার হোলিং না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা তো এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার সেভাবে ব্যবহার করবে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের কথা বলবেন কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি স্পেসিফিক্যালি কিছু বলবো না। আমি শুধু বলেছি অপনাদের সব সংস্কার করা হবে।