বনানীতে সমাহিত হবেন জুয়েল, গুলশানে জানাজা

বনানীতে সমাহিত হবেন জুয়েল, গুলশানে জানাজা

দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

গায়কের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ বাদ আসর জুয়েলের জানাজা হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে এবং সন্ধ্যার পর বনানী কবরস্থানে হবে দাফন। তবে সময়ের একটু হেরফের হতে পারে।

১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। জানা গেছে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস ও হাড়েও সেটি ক্রমেই সংক্রমিত হয়।

শুরু থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলছিল। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গায়ক জুয়েলের স্ত্রী সঙ্গীতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ২৩ জুলাই রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর চিকিৎসকরা আইসিইউতে নেন।

৯০-এর দশকে ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি।  

এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন হলো’। এ ছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি এখনও সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন। তিনি ভালো একজন সংগঠকও। ২০২১ সালে গঠিত সংগীতের তিন সংগঠন নিয়ে ‘সংগীত ঐক্য’ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS