সুস্থ থাকার জন্য শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিয়মিত গোসল করা উচিত। অনেকেই গোসলের সময় প্রতিবারই সাবান ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সাবান নানাভাবে আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে? তাই গোসল করার সময় প্রতিবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, ত্বক রুক্ষ হতে পারে।
শুষ্কতা- অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে যেতে পারে। যা শুষ্কতা এবং রুক্ষতার কারণ হতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল তারা এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করে থাকেন।
জ্বালাপোড়া- কিছু সাবানে কঠোর রাসায়নিক, যেমন- রঙ এবং সুগন্ধ থাকে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালভাব, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই সমস্যাগু্লো আরও গুরুতর হয়ে ওঠতে পারে।
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে- গোসলের সময় নিয়মিত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে ত্বকে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভালো ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে- বেশি সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এ সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও অপসারণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত সাবান ত্বকের মাইক্রোবায়োম মেরে ফেলতে পারে। যা ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে।
ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়- সাবান দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। বিশেষ করে গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। ফলে ত্বকের ক্ষতি ছাড়াও শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
সাবানের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে কিছু টিপস মেনে চলুন-
> গোসলের জন্য, মৃদু সাবান বেছে নিন। যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারি।
> অতিরিক্ত অ্যাডিটিভ বা সুগন্ধযুক্ত শক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।
> শুধুমাত্র হাত, আন্ডারআর্মস, কোমরসহ শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শরীরের অন্য এলাকায় পানি ব্যবহার করুন।
> গোসলের পরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার হবে। ত্বক শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাবে।
> গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হবে না।