বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির মনে হচ্ছে, ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদান একটা সুবিধাবাদী পদক্ষেপ। যখন আওয়ামী লীগ দেখছে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের খুব বেশি গ্রহণ করছে না, তখন তারা ব্রিকসে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ব্রিকস হলো উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচটি দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অক্ষরের সমন্বয়ে নামকরণ করা একটি জোট। কিন্তু ব্রিকসে যাওয়ার চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের মূল সমস্যা হলো দুর্নীতি। তারা ব্রিকস, আইএমএফ, যেখানেই যাক না কেন, দুর্নীতি বন্ধ না করলে কোথাও থেকে তারা সুবিধা পাবে না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে নিজেরাই একটি রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম, দুঃশাসন, দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ এখন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এই সরকারকে তারা আর দেখতে চায় না। অন্যদিকে, বিএনপি যে আন্দোলন করছে, সেটা বিএনপির জন্য নয়। মৌলিক কতগুলো বিষয় নিয়েই তারা আন্দোলন করছে। চলমান এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবিধানিক যে অধিকার সেটাকে অক্ষুণ্ন রাখা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা; সর্বোপরি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
যুগপৎ আন্দোলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। তাদের যে জোট ছিল, সেটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রকাশ্যে যারা আছে, তারা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ রাখছেন এবং কথা বলছেন। সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁরা একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে চান। যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত চায়, তাদের সঙ্গেই বিএনপি আছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আন্দোলন অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। কখনো ওঠে, কখনো নামে। বিএনপির কর্মসূচি চলছে, আবার নতুন কর্মসূচি আসবে। তবে এবারে আন্দোলনের ধরনটা ভিন্ন হবে।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আবু তাহের, নূর এ শাহদৎসহ দলীয় অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।